২৬টা ভোট নিতে প্রাণ হাতে পার করতে হয় ১৪ কিলোমিটার অপরূপ চড়াই
কতদূর আর কতদূর? যে কজন এই চড়াই পথে এগোতে থাকেন তাঁদের প্রত্যেকের মনে এই প্রশ্নই ঘুরতে থাকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তবু যেতেই হয় ভোট নিতে।
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য চারপাশে ছড়িয়ে আছে। তবু সেই সৌন্দর্য উপভোগের মানসিকতা থাকেনা তাঁদের। বরং প্রাণ হাতে করে কখন গন্তব্যে পৌঁছবেন সেটাই মাথায় ঘুরতে থাকে।
কারণ এই ১৪ কিলোমিটারের চড়াই কিন্তু পার করতে যে কোনও মুহুর্তে বিপদের মধ্যে পড়তে হতে পারে তাঁদের। এতটাই দুর্গম চাস্ক ভাতোরি গ্রামে পৌঁছনো।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৪ হাজার মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রামে ভোটার সংখ্যা ২৬। ২৬ জনই এই গ্রামের প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার। এখানে তাই একটি বুথ হয়।
সেই বুথে ভোটগ্রহণ করতে ভোটকর্মীদের আসতে হয় এই গ্রামে। সেটাই তাঁদের জন্য একটা চিন্তার কারণ। সব ভোটকর্মীই ভাবেন ওখানে যেন না পড়ে ভোটের ডিউটি।
হিমাচল প্রদেশে আগামী ১২ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এদিকে হিমাচলের পাহাড়ি এলাকায় ঠান্ডাও বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যে তুষারপাতও হচ্ছে।
হিমাচলের সর্বোচ্চ ভোটকেন্দ্র হল চাম্বা জেলার ভারমুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাস্ক ভাতোরি গ্রাম। পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এই গ্রামে তাই ভোট নিতে পৌঁছতেই হয়। প্রতিবার ভোটের সময় ভোটকর্মীদের বুক কাঁপে।
যদিও প্রকৃতি এখানে তার উজাড় করা রূপ নিয়ে উপস্থিত। কিন্তু এর চড়াই পথ পার হতে ভোটকর্মীরা আতঙ্কে ভোগেন। প্রসঙ্গত হিমাচলের এই ভোটকেন্দ্রে মাত্র ২৬ জন ভোটার দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ হিমাচলের কিন্নর জেলার কা পোলিং বুথে ভোটার সংখ্যা মাত্র ৬ জন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা