National

ঘুম ভেঙে মেঝের দিকে তাকাতেই পরিবারের মনে হল এটাই তাঁদের শেষ রাত

তখন গভীর রাত। বাড়ির সকলের ঘুমটা প্রায় একসঙ্গেই ভাঙে। তারপর তাঁরা খাটে উঠে বসে যা দেখেন তাতে তাঁদের মনে হয় এটাই তাঁদের শেষ রাত।

রাতে বেশ গভীর ঘুমেই ডুবে গিয়েছিল গোটা পরিবার। ঘুমটা ভেঙে যায় বাইরে থাকা ছাগলের একটানা ডাকে। টানা ডেকে চলেছে ছাগলটা। ঘুমের ঘোরেও গৃহকর্তা বুঝতে পারেন কিছু এদিকওদিক হয়েছে। নাহলে এভাবে ডেকে যেত না ছাগলটা।

এদিকে গৃহকর্তা ঘুম ভেঙে খাটে বসে পড়ার পর বাকিরাও ঘুম চোখেই উঠে বসেন। আর তখনই নিচের মেঝেতে যাকে চড়ে বেড়াতে দেখেন তাকে দেখে সকলের ঘুম যায় উড়ে।


শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যায়। ঘরে দুলকি চালে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি কুমির! বাড়ির প্রত্যেকের মনে হয় এটাই বুঝি তাঁদের শেষ রাত।

Crocodile
কুমির, প্রতীকী ছবি

খাটে তাঁরা, নিচে বিচরণ করছে কুমির। বাঁচার জন্য গৃহকর্তা ফোন করেন পুলিশে। পুলিশ যোগাযোগ করে স্থানীয় এক পশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। তিনি ওই পরিবারকে পরামর্শ দেন ওখানে বেশিক্ষণ না থাকার জন্য।


খাটের ওপর বসে থাকলেও ভরসা নেই। তাই তাঁরা যেন এক এক করে পা টিপেটিপে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর সকলে বেরিয়ে এলে ঘরের দরজাটা যেন বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন।

প্রাণ হাতে করে কুমিরের নজর এড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় সকলে বেরিয়ে আসেন বাইরে। দরজাও বন্ধ করে দেন। ঘরের মধ্যে আটকে পড়ে কুমির।

এরমধ্যেই ওই পশু বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে বন দফতরের দল এসে হাজির হয়। তারপর অনেক চেষ্টায় কুমিরকে খাঁচাবন্দি করে। ওই বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন কুমিরটি পূর্ণবয়স্ক নয়। তার বয়স খুব বেশি হলে ২ বছর।

কুমিরটি যে খাবারের খোঁজে ঘরে ঢুকেছিল সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত সকলে। কিন্তু এটা বোঝা যাচ্ছেনা সে ঘরে ঢুকল কোন পথে? ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার জাতিয়া গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button