যুবতীর ডাকে খালি বাড়িতে হাজির হলেন ৭৯ বছরের বৃদ্ধ, তারপরটা দুঃস্বপ্ন
এক যুবতীর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন ৭৯ বছরের এক বৃদ্ধ। বাড়ি খালি ছিল। সেখানে আসার পর যা ঘটল তা এই বৃদ্ধ বয়সে তাঁর জন্য লজ্জার।
৭৯ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে নিজেই এসে আলাপ করেছিল ৩২ বছরের এক যুবতী। বিবাহিতা ওই যুবতীর সাহচর্য বৃদ্ধের ভাল লাগতে শুরু করে। ফলে ২ অসম বয়সী মানুষের ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ গভীর হয়।
বিবাহিতা হলেও ওই যুবতী বৃদ্ধের সঙ্গে প্রায়শই সময় কাটাতে থাকে। এদিকে এর মধ্যেই বৃদ্ধের কাছ থেকে ওই যুবতী কিছু টাকা নেয়। ধার হিসাবে ৮৬ হাজার টাকা নেয় সে। বৃদ্ধকে কথা দেয় ওই টাকা সে ফিরিয়ে দেবে।
দীর্ঘদিন কেটে গেলেও টাকা না ফেরত দেওয়ায় বৃদ্ধ একসময় টাকা চাইতে শুরু করেন। টাকা ফেরতের জন্য বৃদ্ধের চাপ বাড়তে থাকায় একদিন যশোদা নামে ওই যুবতী বৃদ্ধ চিদানন্দাপ্পাকে নিজের বাড়িতে ডাকে।
যুবতীর ডাকে ওই বাড়িতে হাজির হন বৃদ্ধ। খালি বাড়িতে বৃদ্ধ উপস্থিত হওয়ার পর তাঁকে সরবত করে খাওয়ায় যশোদা নামে পরিচয় দেওয়া ওই যুবতী। সেই সরবত খাওয়ার পর কেমন যেন ঝিমুনি পেয়ে বসে বৃদ্ধকে।
কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। অচেতন ওই বৃদ্ধের দেহ থেকে এরপর সব পোশাক খুলে নেয় ওই যশোদা। অভিযোগ তারপর নিজে দৈহিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয় বৃদ্ধের সঙ্গে। সেই ছবি সে ক্যামেরাবন্দিও করে।
বৃদ্ধের চেতনা ফেরার পর এবার টাকা দেওয়া তো দূরের কথা, পাল্টা বৃদ্ধকে ওই ভিডিও দেখায় যশোদা। ভিডিওতে বৃদ্ধ দেখেন তিনি যশোদার সঙ্গে শারীরিকভাবে মিলিত অবস্থায় রয়েছেন। যশোদা জানায় এই ভিডিও সে বৃদ্ধের স্ত্রী ও সন্তানদের দেখিয়ে দেবে যদি না চিদানন্দাপ্পা ১৫ লক্ষ টাকা দেন।
বৃদ্ধ বুঝতে পারেন যশোদার তাঁর সঙ্গে পরিচয় করার আসল মতলবটা কি! তিনি সোজা হাজির হন থানায়। পুলিশকে সব খুলে বলেন।
পুলিশ বৃদ্ধের অভিযোগে তদন্তে নেমে যশোদাকে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের দেবনগরে-র সরস্বতীনগরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা