National

এ-তে আর অ্যাপল নয় অর্জুন, বি ফর বল নয় বলরাম

ইংরাজি অক্ষরজ্ঞানের জন্য শিশুদের যে বই দেওয়া হয় তাতে এ ফর অ্যাপল। বি ফর বল দেখেই সকলে অভ্যস্ত। তবে একটি স্কুলে অন্য কিছু হল।

কথায় বলে কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক যদি চান যে এ ফর আর অ্যাপল থাকবে না, বি ফর বল থাকবে না, সি ফর ক্যাট থাকবে না, তাহলে সেটাই হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের একটি পিডিএফ তাই সকলের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। যেখান বলা হয়েছে এবার থেকে ইংরাজি অক্ষরজ্ঞান করাতে হবে দেবদেবী বা পুরাণ গাথার পরিচিত চরিত্রদের দিয়ে।


উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে এ ফর অ্যাপল আর বলা হবে না। বলা হবে এ ফর অর্জুন। যিনি মহাভারতের অন্যতম চরিত্র। বি ফর বল নয়। বি ফর হবে বলরাম। শ্রীকৃষ্ণের দাদা। সেভাবেই সি ফর ক্যাট নয়, চাণক্য। ডি ফর ডল নয়, ধ্রুব।

সাহেব লাল মিশ্র নামে ওই প্রধান শিক্ষক প্রথাগত শিক্ষার চিরাচরিত পঠন ধারনা পরিবর্তনের পিছনে কারণও দর্শেছেন। তাঁর মত, বর্তমান যুগে ছাত্রছাত্রীরা ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আগে ঠাকুমা, ঠাকুরদার কাছে ছোটরা যেসব গল্প শুনত তাতে দেশের আদি সংস্কৃতির শিক্ষাও থাকত।


এখন মোবাইলের জামানায় সকলেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। তাই শিশুরা তাদের সংস্কৃতিকেই চিনছে না। তাই তাদের অক্ষরজ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে দেশের আদি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নামগুলির সঙ্গে পরিচিত করা দরকার।

সাহেব লালের মতে, এ ফর অর্জুন বা বি ফর বলরামের মধ্যে দিয়ে একাধারে অক্ষরজ্ঞানও হবে আবার ভারতীয় সংস্কৃতি সম্বন্ধেও শিশুরা প্রথম থেকে জানতে পারবে।

যদিও লখনউয়ের শিক্ষক সাহেব লাল মিশ্রের বক্তব্যকে খণ্ডন করে এক অধ্যাপক জানিয়েছেন, শিশুদের এভাবে এক এক জন চরিত্রকে দিয়ে অক্ষরজ্ঞান করানো হলে তাতে তাদের শিক্ষা পূর্ণতা পাবেনা। বরং যেসব শব্দ তাদের জন্য সহজসরল এবং বস্তুটি চেনা, তা অনেক সহজে তাদের মননে জায়গা পাবে। বিশ্বমানব হয়ে উঠতে তাই এ ফর অ্যাপল, বি ফর বলই শ্রেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button