চলছিল বাড়ি সারাই, মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল গুপ্তধন
সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের বাড়ি। পুরনো হয়ে যাওয়ায় তার সারাইয়ের কাজ চলছিল। সে সময় মাটি খুঁড়তে বেরিয়ে এল ঘড়া ভর্তি গুপ্তধন।
বাড়িটা পুরনো হয়ে গিয়েছিল। তাই বেশ কিছু জায়গা ভেঙে ফেলে, মাটি খুঁড়ে সারাইয়ের কাজ চলছিল। শ্রমিকরা মাটি খুঁড়ছিলেন। এমন সময় মাটির তলায় কিছু একটা শক্ত মত জিনিসে ধাক্কা লাগে বেলচার।
মাটির তলায় শক্ত কিছু কি রয়েছে? খতিয়ে দেখতে সেখানকার মাটি আরও সন্তর্পণে খুঁড়তে শুরু করেন শ্রমিকরা। আর তা খুঁড়তেই নজরে পড়ে একটি ঘড়া।
প্রাচীন সেই ঘড়া তুলে খবর দেওয়া হয় বাড়ির মালিককে। তিনি সেখানে হাজির হয়ে চমকিত হয়ে যান। এ তো সাক্ষাৎ গুপ্তধন!
ঘড়ার মুখ খুলতে দেখা যায় ভিতরে রয়েছে প্রচুর কয়েন। বার করে দেখা যায় সেগুলি রূপোর কয়েন। এমন ১২৯টি কয়েন রয়েছে ঘড়ায়।
এদিকে মাটির তলা থেকে গুপ্তধন পাওয়া গেছে একথা চাপা থাকেনি। এলাকায় আগুনের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে খবরটা। ফলে তা স্থানীয় পুলিশের কানে যেতেও সময় নেয়নি।
পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ওই বাড়িতে হাজির হয়। উদ্ধার হওয়া কয়েন কারও ব্যক্তিগত হতে পারেনা। পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় পুরাতত্ত্ব বিভাগকে।
ঘটনাটি ঘটেছে লখনউ ইয়াহিয়াগঞ্জ এলাকার ভীমনগরের বাসিন্দা জ্ঞান সিংয়ের বাড়িতে। সেখানেই চলছিল খোঁড়ার কাজ। তখনই এই রূপোর কয়েনের ঘড়া উদ্ধার হয়।
কয়েনগুলি জেলাশাসকের তরফ থেকে সরকারি কোষাগারে নিয়ম মেনেই জমা করা হয়েছে। এদিকে ঠিক কোন সময়ের এই কয়েন তা এখনও পরিস্কার নয়। বিশেষজ্ঞেরা পরীক্ষা করে দেখার পরই তা জানা যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা