কৃষকের ছেলেকে বিয়ে করে অজ গাঁয়ে সংসার পাতলেন ব্রিটেনের মেম
সবকিছু পিছনে ফেলে বিলেত থেকে উড়ে এলেন মেমসাহেব। হাজির হলেন এক অজ গ্রামে। সেখানেই কৃষক সন্তানকে ভালবেসে বিয়ে করে পাতলেন সুখের সংসার।
ঠিক যেন রূপকথার গল্প। এক মেমসাহেবের সঙ্গে ভারতের এক গ্রামের ছেলের প্রেম কাহিনি। যা শুরু হয়েছিল বিশ্ব যখন ঘরবন্দি ঠিক তখন থেকে। সেই প্রেম গভীর হয়েছে পডকাস্টে। বলা ভাল তাঁদের এই প্রেমের জোড়ের সুতোটা বাঁধা আছে ওই পডকাস্টেই। পডকাস্টের হাত ধরেই পরিচয়। একে অপরের ভাল লাগা মন্দ লাগা ভাগ করে নেওয়া।
২ জনেই একটা সময়ের পর স্থির করেন বিয়ে করবেন। ব্রিটেনের তরুণী হ্যানা হিউইট সেখানে তখন নার্সের চাকরি করছেন। কিন্তু বাড়িঘর, পরিবার, চাকরি সব ছেড়ে আসতে এককথায় রাজি হয়ে যান হ্যানা।
পালেন্দ্রকে বিয়ে করে তিনি পালেন্দ্রর গ্রামেই সংসার করতেও রাজি হয়ে যান। কৃষক সন্তান পালেন্দ্র কৃষিকাজের সঙ্গে অবশ্য যুক্ত নন। তিনি নিজে একটি সংস্থায় সেলস ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত।
তবে তাঁর পিতা সহ গোটা পরিবার কৃষিকাজের সঙ্গেই যুক্ত। হ্যানা জানিয়ে দেন তিনি কোনও ডেসটিনেশন ওয়েডিং বা তাজমহলকে পিছনে রেখে বিয়ে করতে চান না। চান পালেন্দ্রর গ্রামে ভারতীয় সনাতনি বিবাহ রীতি মেনে বিয়ে করতে।
সেইমত আগ্রার কাছে বামরোলি কাতারা গ্রামে বিয়ের আসর বসে। মেম বউমাকে মেনে নিতে আপত্তি করেনি পরিবার। বরং সকলে মিলে ধুমধাম করেই বিয়ে দিয়েছেন পালেন্দ্র ও হ্যানার।
বিয়ের দিন এক হাত ভরা ট্যাটু নিয়ে হ্যানা কিন্তু ভারতীয় কনের সাজেই সেজেছিলেন। এখন তিনি চান গ্রামেই সকলকে নিয়ে সংসার করতে।
শ্বশুর, শাশুড়ি সহ পরিবার ও গ্রামের সকলের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলায় ভাষা একটা অন্তরায় বটে। তবে হ্যানা জানিয়েছেন তিনি খুব দ্রুত হিন্দি শিখে নেবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা