পরীক্ষায় খাতা বদল রুখতে এবার আগেই সেলাই করা খাতা দেবে একটি বোর্ড
পরীক্ষায় খাতা বদল করা রুখে দিতে এবার অন্য পথে হাঁটল একটি বোর্ড। এবার তারা পরীক্ষার্থীদের সেলাই করা খাতাই সরবরাহ করতে চলেছে।
বোর্ডের পরীক্ষা যে কোনও ছাত্রছাত্রীর জীবনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়। উচ্চশিক্ষার পথে পা বাড়ানোর প্রথম সিঁড়ি হয় বোর্ডের পরীক্ষা। সেখানকার নম্বরও যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে।
কিন্তু সেই পরীক্ষাতেই কয়েক বছর ধরে চলছে কপি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। পরীক্ষায় ভাল ছাত্রদের খাতাই হয় এদের টার্গেট। পরীক্ষার পর ভাল ছাত্রদের খাতাগুলো থেকে প্রথম পাতাটা খুলে দেয় তারা। তারপর বাকি অংশটা কোনও কম মেধার ভাল পরীক্ষা না দিতে পারা ছাত্রের প্রথম পাতার সঙ্গে জুড়ে দেয়।
স্টেপল খুলে ফের স্টেপল করে দেওয়ার পর বদলে যায় খাতা। তখন ভাল ছাত্রের প্রথমে নাম লেখা পাতাটা বাদ দিয়ে বাকি অংশ হয়ে যায় দুর্বল ছাত্রের। আর ভাল ছাত্রের প্রথম পাতা বাদ দিয়ে বাকি অংশ হয়ে যায় দুর্বল ছাত্রের উত্তরপত্র।
সেটাই পরীক্ষা করে দেখেন শিক্ষকরা। ফলে ভাল ছাত্র কম নম্বর পায়। আর তথাকথিত দুর্বল ছাত্র ভাল নম্বর পায়। অর্থের বিনিময়ে এই কাণ্ড চলে উত্তরপ্রদেশের বোর্ডের পরীক্ষায়। যা নিয়ে তদন্তও হয়েছে।
এমন ঘটনায় ভাল ছাত্র ভাল পরীক্ষা দিয়েও কম নম্বর পায়। এবার তাই কপি মাফিয়াদের জারিজুরি ভঙ্গ করতে উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ অন্য পথ অবলম্বন করেছে।
পর্ষদের পক্ষ থেকে এবার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বসার সময়ই তাদের সেলাই করা খাতা দেওয়া হবে। তাতেই পরীক্ষা দিতে হবে। এতে পরীক্ষার পর কারও খাতা বদল করা সম্ভব হবে না।
খাতা বদল করতে গেলে ছিঁড়ে ফেলতে হবে। সেটা করলেই ধরা পড়ে যাবে কপি মাফিয়ারা। মথুরা, প্রয়াগরাজ, মুজফ্ফরনগর, হরদোই, জৌনপুর, বালিয়া, গাজিপুর, আলিগড়, আজমগড় ও কৌশাম্বী, এই ১০ জেলায় কপি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি।
তবে কেবল এই জেলাগুলিই নয়, উত্তরপ্রদেশের সব জেলার সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই আগে থেকে সেলাই করা উত্তরপত্রে পরীক্ষার উত্তর লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এতে কপি মাফিয়ারাজ রোখা সম্ভব হবে এবং ভাল ছাত্ররা সুবিচার পাবে বলেই মনে করছে পর্ষদ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা