National

সব ছেড়ে শীতের রোদে বাহুবলীর নাচ দেখতেই ব্যস্ত মেলায় মানুষজন

এ মেলায় পাওয়া যায়না এমন জিনিস খুঁজে মেলা ভার। রয়েছে নানা মন ভাল করা আকর্ষণও। কিন্তু সব ছেড়ে বাহুবলীর নাচ এখন একমাত্র দ্রষ্টব্য হয়ে উঠেছে।

কথায় বলে এ মেলায় পাওয়া যায়না এমন কিছু হয়না। বিশাল মাঠ জুড়ে বসা এই মেলায় আলপিন থেকে হাতি সবই পাওয়া যায়। কথার কথাও নয়। এক সময় সত্যিই অন্য পশুপাখির সঙ্গে এই মেলায় হাতি বিক্রি হত।

কিন্তু হাতি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে আর হাতি বিক্রি হয়না। তবে ঘোড়া, গৃহপালিত অন্য পশু, ছাগল, মুরগি সবই বিক্রি হয়। আবার দামি দামি জিনিসও মেলা প্রাঙ্গণে চাইলে অনায়াসে পেয়ে যান মানুষজন।


ফলে এ মেলার আকর্ষণই আলাদা। স্থানীয়রাই নন, দেশের এবং বিদেশের মানুষও এই মেলা দেখতে শীতের রোদ গায়ে মেখে হাজির হন বিহারের সোনপুরে।

এবারও তার অন্যথা হয়নি। এক মাস ধরে চলা এই মেলায় আসা মানুষ এবার অবশ্য সব ছেড়ে মেজেছেন বাহুবলীর নাচে। ভিড় সামলে ওঠা দায় হচ্ছে।


গত ২ বছর ২০২০ ও ২০২১ সালে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। ফের ২০২২ সালে মেলা বসতেই মানুষের ঢল নেমেছে। সেখানেই বেজে উঠছে ঘুঙুরের শব্দ।

ঘুরে তাকাতেই মানুষজন দেখছেন ঘোড়া নাচছে। ঘোড়ার নাম বাহুবলী। যে সে ঘোড়া নয়। সাদা ধবধবে ঘোড়ার খাবার তালিকাও একদম আলাদা।

তাকে অন্য খাবারের সঙ্গে ড্রাই ফ্রুট খাওয়ান তার মালিক। যা থেকে ঘোড়ার স্ফূর্তি নজর কাড়ার মত তৈরি হয়েছে। তার পায়ে ঘুঙুর বাঁধার শুধু অপেক্ষা।

পায়ে ঘুঙুর পড়লেই সে নাচতে শুরু করে দেয়। ঘোড়ার নাচে মুগ্ধ হয়ে মানুষের ঢল নামে সেখানে। ঘোড়াটিকে এই মেলায় আনা হয়েছে বিক্রির জন্যই।

ঘোড়ার মালিক আরমানের মতে, এ ঘোড়া যে শুধু দারুণ নাচতে পারে এমন নয়, সে দারুণ ছুটতেও পারে। বাহুবলী অন্যতম দ্রুত ঘোড়া বলেই দাবি করেছেন আরমান।

কিন্তু ঘোড়ার খাবার জোগান দেওয়া আরমানের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছেনা। তাই তিনি বাহুবলীকে ঠিকঠাক দাম পেলে বিক্রি করে দিতে চান।

আরমান জানাচ্ছেন, বাহুবলী নাচতে শুরু করলে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু বাহুবলীকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা নগণ্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button