বিয়েবাড়ি বা হলের দরকার নেই, নদীর ধারেই এবার বসবে বিয়ের আসর
পাশ দিয়ে নদী বয়ে গেছে। ঝলমলে রোদ গায়ে মেখে সবুজ ঘাসের গালিচায় বিয়ে তো অনেকের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরণের সুযোগও এবার হাতে এসে গেল।
বিদেশে খোলা আকাশের নিচে নদী বা হ্রদের ধারে সবুজ ঘাসে ভরা মাঠে মণ্ডপ তৈরি করে বিয়ের আসর নতুন নয়। কিন্তু ভারতে বিয়ে হয় নিজের বাড়ি অথবা কোনও বিয়ে বাড়ি ভাড়া করে।
এভাবে নদীর ধারে খোলা আকাশের নিচে মণ্ডপ তৈরি করে বিয়ের প্রচলন এ দেশে নেই। মনে ইচ্ছা থাকলেও তেমন সুযোগ নেই।
এবার কিন্তু খোদ প্রশাসনিক উদ্যোগে শুরু হচ্ছে নদীর ধারে সুন্দর করে সাজানো সবুজ মাঠে বিয়ের আয়োজন। যেখানে বিয়েও হবে, খাওয়াদাওয়াও হবে, অতিথিরা সকলে মিলে বিয়ের আনন্দে মেতে উঠতে পারবেন।
নবাবের শহর লখনউয়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গোমতী নদী। প্রায় ১৬ কিলোমিটার পথ গোমতী নদী লখনউয়ের গাঘেঁষে বয়ে গেছে। এবার এই নদীর ধারকেই বিয়ের আয়োজনের জন্য প্রস্তুত করে ফেলছে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রশাসনিক খরচ বেড়েছে। তা সামাল দিতে লখনউ শহর প্রশাসনের টাকার দরকার। সেজন্য তারাই উদ্যোগ নিয়ে নদীর ধারে বিয়ের খোলা প্রাঙ্গণ ভাড়া দিতে চলেছে।
এতে চার দেওয়ালের মধ্যে বিয়ে করা ছেড়ে মানুষ প্রকৃতির বুকে বিয়ের একটা অন্য আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। একটা নতুনত্বও হবে। আবার এই জায়গা ভাড়া দিয়ে টাকাও আসবে প্রশাসনের কোষাগারে।
তবে শুধু বিয়ে বলেই নয়, নদীর ধার জুড়ে আরও নানা ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত লখনউ প্রশাসন। যার মধ্যে রয়েছে জলে বেড়ানোর ব্যবস্থা, চলমান খাবার দোকান, সাজানো নদীর ধারে ঘোরার সুযোগ সহ নানা অন্য সুযোগও। যা কার্যত শহরবাসী থেকে পর্যটক, সকলের বেড়ানোর অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠতে চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা