মেয়েকে নিয়ে লুকিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন স্বামী, ফেরাতে অন্য পথে স্ত্রী
তাঁর মেয়েকে নিয়ে রাতের অন্ধকারে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন তাঁর স্বামী। তাঁদের ফেরাতে এবার অন্য পথে হাজির স্ত্রী।
২০১৪ সালে বিয়ে হয় ২ জনের। বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয়। বিয়ের পর সব ঠিকই ছিল। স্বামী লন্ডনে কর্মরত। ফলে ১ বছর কাটতে নববধূকে নিয়ে তিনি লন্ডনে চলে যান। সেখানে পৌঁছনোর কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় অশান্তি। ততদিনে তাঁদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে।
সদ্য মা হওয়া ফারহানার দাবি, তাঁর স্বামী পারভেজ গুলমার্ক তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু করেন। একসময় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি লন্ডনেই অভিযোগ দায়ের করেন।
গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ পেয়ে তৎপর প্রশাসন তাঁদের স্বামী স্ত্রীকে ডেকে একটা সমঝোতা করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। লন্ডনে এই অভিযোগ দায়েরের পর পারভেজও আচমকা স্ত্রীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার শুরু করেন। ফারহানার মনে হয় সব মিটে গেছে।
কিছুদিন পর ফারহানার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করেন পারভেজ। ফারহানা এতে আনন্দিত হন। ছোট্ট কন্যাকে কোলে করে স্বামীর সঙ্গে লন্ডন থেকে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাড়িতে আসেন ফারহানা।
এরপরই একদিন রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে ছোট্ট শিশুটি ও তাঁর পাসপোর্ট নিয়ে পারভেজ পালিয়ে যান বলে দাবি করেছেন ফারহানা। পালিয়ে দেশ ছেড়েই কন্যাকে নিয়ে তিনি লন্ডন ফিরে যান।
যেখান থেকে ফারহানাকে তিন তালাকও দেন পারভেজ বলে দাবি করেছেন ফারহানা। আর যোগাযোগ করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
এই অবস্থায় তাঁর কন্যাকে ফিরে পেতে পারভেজকে প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে লন্ডন থেকে ভারতে ফেরানোর জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছেন ফারহানা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা