সিনেমা হলে পপকর্ন, কোল্ড ড্রিংকস কিনতে পকেট ফাঁকা হচ্ছে এ শহরে
সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সময় পপকর্ন বা কোল্ড ড্রিংকসের সঙ্গ নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার তারা চোখ কপালে তুলে দিচ্ছে ক্রেতাদের।
জীবনে কিছুটা আনন্দের সময় পরিবার, বন্ধু বা আপনজনের সঙ্গে কাটানোর জন্য সিনেমা দেখতে যাওয়া বহুদিনের এক অন্যতম উপায়। ছুটি পেলে এখনও মানুষ সিনেমা হলে হাজির হচ্ছেন।
হতে পারে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এখন সিনেমা হলে মানুষের যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছে, তবে এখনও বহু মানুষ ওই বড় পর্দায় সিনেমা দেখাটা পছন্দ করেন। এটা একটা বিনোদনও তাঁদের কাছে।
আর সিনেমা হলে সিনেমা দেখার সঙ্গে হাতে থাকা পপকর্ন একটা একটা করে মুখে ফেলা এই বিনোদনকেই আরও আনন্দময় করে তোলে। অথবা সিনেমা দেখতে গিয়ে হাফ টাইমে কোল্ড ড্রিংকসে গলা ভেজানোও এক বহু প্রচলিত প্রবণতা। সব মিলিয়ে একটা দারুণ আনন্দময় সময় কাটানো।
তবে এখন এই ভারতেরই কয়েকটি জায়গায় সিনেমা দেখতে গিয়ে পপকর্ন কেনা বা কোল্ড ড্রিংকস কেনা আতঙ্কের হয়ে উঠেছে মানুষজনের জন্য।
নয়ডা এমন এক নতুন তৈরি হওয়া শহর যেখানে সিনেমা হলে ৪০ টাকার কোল্ড ড্রিংকসটি কিনতে গেলে গুনতে হয় ৩৫০ টাকা। অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই ঘটছে।
দোকানে যে কোল্ড ড্রিংকসটির দাম ৪০ টাকা, তা সিনেমা হলে কিনে পান করতে গেলে ৩৫০ টাকা গুনে দিতে হচ্ছে কাউন্টারে। পপকর্নের দামও এমনই।
বাইরের থেকে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি দাম হাঁকছে সিনেমা হলের খাবারের কাউন্টার। সাধারণ পপকর্ন বা কোল্ড ড্রিংকসের দামের পর এটা অনুমেয় যে অন্য কোনও খাবার কিনতে গিলে কত টাকা খসাতে হচ্ছে।
এমন অস্বাভাবিক দাম কেন? এ প্রশ্নের উত্তরটা নয়ডার প্রায় সব হলের খাবারের দোকানের কর্মচারিদের একই। তাঁদের এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।
হেড অফিস থেকে যা দাম স্থির করেছে তার বোর্ডে লেখা আছে। তাঁরা কেবল তা গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করছেন। দাম তাঁরা স্থির করেননা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা