শ্মশানে ধুমধাম করে জন্মদিন পালন করলেন এক প্রৌঢ়
শ্মশানে দাহকাজ ছাড়া বিশেষ কারও যাতায়াত থাকেনা। সেখানেই ধুমধাম করে নিজের জন্মদিন পালন করলেন এক প্রৌঢ়। নিমন্ত্রিতরাও এলেন শ্মশানেই।
৫৪ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। জন্মদিন পালনও করলেন বেশ ধুমধাম করে। কেক কেটে বেশ হইচই করেই পালিত হল জন্মদিন। শতাধিক নিমন্ত্রিত অতিথিও হাজির ছিলেন জন্মদিন পালনের এই অনুষ্ঠানে। সকলে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিলেন তাঁকে।
তবে জন্মদিন তাঁর বাড়িতে হল না। পালিত হল না কোনও হোটেল বা ভাড়া করা অনুষ্ঠান বাড়িতে। বরং জন্মদিন জমিয়ে পালিত হল শ্মশানে।
এখানে অনেকের ভ্রু কুঁচকে যেতেই পারে। শ্মশানে মানুষ দাহকাজে বিভিন্ন সময় গিয়েছেন বটে, তবে অন্য কোনও কারণে সেখানে যাতায়াত থাকেনা কারও। যাওয়াটা পছন্দও করেননা কেউ।
অনেকে অন্ধবিশ্বাস থেকে শ্মশান এড়িয়ে চলেন। কেউ সেখানে ভূতের ভয় পান। কেউ প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারনা ও সংস্কারের কারণে শ্মশানে অন্য কোনও কারণে পা রাখেন না। সেখানে যে জন্মদিনের মত আনন্দ উৎসব পালন করা সম্ভব সেটাই হতবাক করে দিয়েছে ভারতের বহু মানুষকে।
এই অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হিসাবেই তিনি তাঁর জন্মদিন পালনের জন্য শ্মশান বেছে নিয়েছেন বলে জানান মহারাষ্ট্রের কল্যাণের বাসিন্দা গৌতম রতন মোরে।
উল্লাস নদীর ধারে মোহানে শ্মশানে এই জন্মদিনের উৎসব পালন করেন প্রৌঢ় গৌতম। কেক কাটার পর সকলের জন্য বিরিয়ানির ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।
ভূত বলে যে কিছু হয়না সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গৌতমের এই কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াই নজরে পড়েছে। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংবাদ সকলের নজরও কেড়েছে।