ইঁদুর মারায় জেল খাটতে হল এক ব্যক্তিকে, আরও কি অপেক্ষা করছে জানেননা
বেশ করেছি। আবার করব। এমন এক বক্তব্য যে তাঁকে গারদের পিছনেও পৌঁছে দিতে পারে তা বোধহয় বুঝতে পারেননি ওই ব্যক্তি।
একটি ইঁদুরের লেজে বেঁধে দিয়েছিলেন একটি দড়ি। দড়ির আর এক প্রান্তে বাঁধা হয়েছিল একটি পাথরের টুকরো। এই অবস্থায় ইঁদুরটিকে টেনে নর্দমায় ফেলে দেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে ছিল তাঁর সন্তানেরা। তারা অবশ্য কিছু করছিল না। পাশে দাঁড়িয়ে বাবা কি করছেন তা দেখছিল।
এই সময় অন্য ১ জন এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। এভাবে ইঁদুরটির ওপর অত্যাচার চালাতে মানা করেন। কিন্তু সে কথা কানে তোলা দূরে থাক, ওই ব্যক্তি সাফ জানিয়ে দেন তিনি বেশ করেছেন, আবারও এমনটাই করবেন।
একথা শোনার পর আর প্রতিবাদ এগোননি অপর ব্যক্তি। শুধু যা ঘটছে তার একটি ভিডিও তুলে নেন। যেখানে ইঁদুরটির লেজে পাথর বেঁধে তাকে নর্দমার জলে ডুবিয়ে মারার দৃশ্য পরিস্কার।
বিকেন্দ্র শর্মা নামে ওই ব্যক্তি ভিডিওটি তুলে পুলিশের কাছে হাজির হন। পশুর ওপর অত্যাচারের আইনে ইঁদুরের ওপর অত্যাচার চালানো মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান।
ভিডিও দেখার পর মনোজ কুমার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে গারদের পিছনে রাখা হয়। এভাবে ১০ ঘণ্টা গারদের পিছনে কাটাতে হয় মনোজ কুমারকে।
ইঁদুরকে নর্দমার জলে চুবিয়ে মারার অপরাধে জেলে কাটাতে হয় মনোজকে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ইঁদুর প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যাল অ্যাক্ট-এর আওতাধীন নয়। সেই তালিকায় ইঁদুরের নাম নেই। তবু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইঁদুরটির দেহও উদ্ধার করা হয়েছে। সেটিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
একটা ইঁদুর মেরে যে এমন এক পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে তা অবশ্য মনোজ কুমার বুঝতে পারেননি। উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর এই ঘটনায় মনোজ কুমারের জন্য আরও কি অপেক্ষা করছে সেই ভয়ে কাঁটা হয়ে আছেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা