এবার বর্ষা শুরুর পর থেকেই অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছিল। মাঝে সামান্য উন্নতির সম্ভাবনা দেখা দিলেও নেপাল থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর দাপটে হিমালয়ের তরাইয়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে গত ৩ দিন ধরে। যারফলে ব্রহ্মপুত্র সহ অসমের ১১টি নদী ফুঁসছে। হুহু করে জল বাড়ছে বহু এলাকায়। রাজ্যের ২১টি জেলা বন্যা বিধ্বস্ত। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১০০ ছুঁয়েছে। গৃহহীন প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষ। ত্রাণ শিবির তৈরি করে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ অসমে জলের তলায় চলে গেছে।
অসমে অনেকদিন আগে থেকেই বন্যা পরিস্থিতি জটিল আকার নিলেও বিহারের তেমন অবস্থা ছিল না। কিন্তু নেপালে প্রবল বৃষ্টিতে বিহারের গঙ্গা, তাপ্তি, কোশী, মহানন্দা, বাঘমতী, কাঁকই নদী ফুঁসছে। জল বাড়ছে হুহু করে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পূর্ব বিহারের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা কিষণগঞ্জ, পূর্ণিয়া, আরারিয়া, কাটিহার, সুপল, মুজফফরপুরের অনেক এলাকা জলমগ্ন। বহু গ্রামে জল ঢুকে পরিস্থিতি ঘোরাল করে তুলছে। এনডিআরএফ-কে উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে। বিহারের বানভাসি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।