রীতি ভেঙে কনেযাত্রী নিয়ে বরের বাড়ি বিয়ে করতে গেলেন কনে
রীতিমত ঢাকঢোল পিটিয়ে কনেযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে বিয়ে করতে গেলেন কনে। রীতি ভেঙে এক নতুন ধারার জন্ম দিলেন তিনি।
বিয়ে মানে কনের বাড়িতে আসবেন বর। সঙ্গে আসবেন বরযাত্রী। কনের বাড়িতেই বিয়ে হবে। পরদিন পারিবারিক প্রথা মেনে নববধূকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন বর। সেখানে পরদিন হবে বউভাতের অনুষ্ঠান। যেখানে আসবেন কনেযাত্রী সহ অতিথিরা।
ফলে বিয়েতে কনের বাড়িতে বর আসা এবং সেখানেই যাবতীয় রীতিনীতি প্রথা মেনে বিয়েটা হয়। এটাই চিরকাল হয়ে এসেছে। কিন্তু সেই রীতি এবার ভেঙে দিলেন এক তরুণী। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ওই ২৫ বছরের তরুণী কনের সাজে সেজে বিয়ে করতে কনেযাত্রীদের সঙ্গে করে হাজির হলেন বরের বাড়িতে।
একটি ঘোড়ার গাড়িকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। সেখানেই উঠে বসেন সিমরন নামে ওই তরুণী। তারপর সেই ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে চোখে রোদ চশমা লাগিয়ে কনেযাত্রীদের সঙ্গে আনন্দ করতে করতে হাজির হন বরের বাড়িতে।
এই উলটপুরাণের সাক্ষী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের মানুষজন। সকলেই কনের কাণ্ড দেখে থ বনে গেছেন। এমনটাও যে হতে পারে তা অনেকেই কল্পনা করতে পারেননি।
পরে অবশ্য রীতি মেনেই সিমরনের সঙ্গে পেশায় পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার দুষ্মন্ত চৌধুরির বিয়ে হয়ে যায়। অবশ্যই বরের বাড়িতে।
উত্তরাখণ্ডের কাশীপুরের বাসিন্দা চৌধুরি পরিবার অবশ্য সিমরনের এই কাণ্ড মেনে নিয়েছে। তবে এক কৃষকের মেয়ের এই প্রথা ভাঙার সাহসকে অনেকে যেমন কুর্নিশ জানাচ্ছেন, তেমনই আবার অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না এমন সনাতনি প্রথা ভাঙা বিয়েকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা