ঘটনাটি ঘটেছিল ২ অগাস্ট। তার ১১ দিন পর একরকম বাধ্য হয়েই ২ মহিলা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু গারদের পিছনে বসেও তাদের কৃতকর্মের জন্য কোনও আক্ষেপ নেই কারও। বরং ভৈরোনাথজি নামে এক প্রেতাত্মার নির্দেশেই তারা এসব করেছে বলে মনে করছে তারা।
অভিযোগ গত ২ অগাস্ট ডাইনি সন্দেহে রাজস্থানের আজমেরের এক গ্রামে কন্যাদেবী নামে বছর ৪০-এর মহিলাকে টেনে বার করে আনা হয় বাড়ি থেকে। খাপ পঞ্চায়েতের সামনেই তাঁকে মল ও নোংরা জল খেতে বাধ্য করা হয়। তারপর নগ্ন করে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়। হাতের চেটোয় রাখা হয় জ্বলন্ত কয়লা। প্রবল যন্ত্রণা নিয়ে পরদিন মৃত্যু হয় ওই মহিলার। মহিলার মৃত্যুর পরই তাঁর দেহ দ্রুত পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এই ঘটনায় ধৃতরা সকলেই কন্যাদেবীর পরিবারের। ১৫ বছরের ছেলের সামনেই মায়ের ওপর এমন নৃশংস অত্যাচার করা হয়। যাতে পুরো সম্মতি ছিল খাপ পঞ্চায়েতের বলে অভিযোগ। পরে পুরো ঘটনা কন্যাদেবীর ছেলেই সকলকে খুলে বলে। পুলিশ কন্যাদেবীর পরিবারের ৫ জনকে গ্রেফতার করলেও খাপ পঞ্চায়েতের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করেনি।