লুডোয় নিজেকে বাজি রেখে হারলেন মহিলা, এখন মেটাতে হচ্ছে বাড়িওয়ালার আবদার
মহাভারতে পাশা খেলায় শেষপর্যন্ত দ্রৌপদীকেও বাজি ধরেছিলেন যুধিষ্ঠির। এবার এক মহিলা নিজেকে বাজি ধরলেন। সেই বাজি হেরে আপাতত বাড়িওয়ালার সব দাবি মানতে হচ্ছে তাঁকে।
মহাভারতে পাণ্ডব পত্নী দ্রৌপদীকে দুর্যোধনের সঙ্গে পাশা খেলায় বাজি ধরেছিলেন পাণ্ডবদের বড় দাদা যুধিষ্ঠির। সেই খেলায় হারার পর দ্রৌপদীকে তাঁদের সম্পত্তি বলে দাবি করে ভরা রাজসভায় দ্রৌপদীকে যে চরম লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছিল কৌরবদের কাছে সে কাহিনি কমবেশি সকলের জানা।
এবার অন্য কেউ নন, নিজেই নিজেকে বাজি রাখলেন এক মহিলা। ওই মহিলা লুডো খেলতে ভালবাসেন। এতটাই লুডো খেলায় তিনি আসক্ত যে অর্থ বাজি রেখেও লুডোর খেলেন।
এদিকে তাঁর ২ সন্তান রয়েছে। স্বামী রাজস্থানে গেছেন কাজে। সেখান থেকে সংসার চালাতে মাসে মাসে স্ত্রীকে টাকাও পাঠান। কিন্তু ওই মহিলা সেই টাকার অনেকটাই লুডোর নেশায় বাজি ধরে শেষ করে ফেলেন।
গত সপ্তাহে তিনি তাঁর বাড়িওয়ালার সঙ্গে লুডো খেলছিলেন। টাকা যা হাতে ছিল সব শেষ হয়ে যায়। অবশেষে বাজি ধরার মত কিছু না পেয়ে তিনি নিজেকেই বাজি ধরেন। সেই খেলাতেও হারেন তিনি।
বাড়িওয়ালা ওই মহিলাকে নিয়ে এরপর নিজের ঘরে চলে যান। সেখানে তাঁকে বাড়িওয়ালার সব আবদারই মানতে হয়। পরিস্থিতির কথা অবশেষে স্বামীকে ফোন করে জানান ওই মহিলা।
দ্রুত স্বামী হাজির হন উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের দেবকালীতে। সেখানে পৌঁছে স্ত্রীর পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করেন।
স্ত্রীকে আশ্বাস দেন যে তিনি বাড়িওয়ালার কাছ থেকে চলে এলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু লুডোয় নিজেকে হারা মহিলা বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ফিরতে রাজি হননি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা