ফের এ দেশের জমিতে কুনজর পড়ল চিনের
চিনের আগ্রাসী নীতি ফের মাথাচাড়া দিল। ফের কুনজর পড়ল তাদের। এ দেশের জমিতে তাদের কুনজরকে খুব হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না সরকার।
চিনের সর্বগ্রাসী একটা প্রবণতা বারবার নজর কেড়েছে। এর আগে গালওয়ানে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার তাদের চেষ্টা বীরের মত রুখে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। চিনকে রুখতে বীরের মত প্রাণ বিসর্জনও দিয়েছিলেন জওয়ানরা।
যতবারই চিন তাদের লোলুপ চোখ ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে ফেলেছে, ততবারই তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। একটা সময় অরুণাচলের ভূখণ্ড নিজেদের দখলে নেওয়ার কম চেষ্টা চিন করেনি। পরে অবশ্য ওদিক থেকে কিছুটা হলেও তারা নজর সরায়।
এবার ফের সেই ভূখণ্ডে তাদের কুনজর পড়ল। অরুণাচল প্রদেশের ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা তাদের বলে ফের দাবি তুলল চিন।
চিনের দাবি ওই ভূখণ্ড তাদের। তারা ওই জমিকে দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে সুর চড়িয়েছে। যদিও তার কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে দিল্লি।
সিমলা চুক্তির সময় সেই চুক্তির মধ্যস্থতায় থাকা হেনরি ম্যাকমোহন সে সময় সর্ব সম্মতিক্রমে পূর্ব ভুটান থেকে চিন-মায়ানমার সীমান্তের আইসু রাজি পাস পর্যন্ত একটি রেখা স্থির করেন। যা ভারত ও চিনের ভূখণ্ডকে সুনিশ্চিতভাবে আলাদা করে।
সেখানে অরুণাচল প্রদেশের যে অংশ ম্যাকমোহন লাইন মেনে ভারতের দিকে পড়েছে সেটা ভারত তার দখলে রাখে। আর সেখানেই আপত্তি চিনের।
চিন অরুণাচল প্রদেশের একটা বড় অংশই নিজেদের বলে দাবি করে। গত কয়েক বছরে অরুণাচলের বেশ কিছু জায়গার নামও বদলে দিয়েছে চিন। তারা তাদের মত করে সেসব জায়গার নামকরণ করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা