National

মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ২ বৃদ্ধার সব গয়না নিয়ে গেল ব্যাঙ্ক অফিসার সাজা ঠগ

২ বৃদ্ধার পারিবারিক কিছু তথ্য সে আগেই জোগাড় করেছিল। তারপর তা কাজে লাগিয়ে বাজারের মাঝখান থেকে সুকৌশলে ২ বৃদ্ধার সব গয়না নিয়ে গেল ঠগ।

২ বৃদ্ধা সম্পর্কে ২ বান্ধবী। একসঙ্গে বাজার গিয়েছিলেন কিছু কেনাকাটা করতে। সেখানে মুখে মাস্ক দেওয়া এক যুবক তাঁদের কাছে এসে হাজির হয়। নিজের পরিচয়ও দেয়। এক বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করে চিনতে পারছেন কিনা?

ওই যুবক নিজেকে বৃদ্ধার দূরসম্পর্কের আত্মীয় পঙ্কজ বলে পরিচয় দেয়। বৃদ্ধার সন্দেহ হওয়ায় তিনি মুখ থেকে মাস্ক সরাতে বলেন। মাস্ক সরালে যে যুবককে তিনি দেখতে পান তাকে পঙ্কজ বলে তাঁর মনে হয়না।


বৃদ্ধা সাফ জানান তিনি যে পঙ্কজকে অনেকদিন আগে দেখেছিলেন সে তো ফর্সা ছিল! ওই যুবকের গায়ের রং তো কালো! নিজেকে পঙ্কজ বলে পরিচয় দেওয়া যুবক জানায়, সে এখন ব্যাঙ্কে কাজ করে। মুম্বই শহরে দীর্ঘদিন রয়েছে। ফলে সেখানে দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে তার গায়ের রঙ রোদে পুড়ে কালো হয়ে গেছে।

এরপর কথায় কথায় সে বৃদ্ধাকে এও জানায় যে সে বৃদ্ধাকে খুঁজতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিল। সেখানেই লোকজন জানান তিনি বাজারে এসেছেন। তাই বাজারে এসে দেখা করল।


ওই যুবক এও জানায় যে দরিদ্র বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ৬ লক্ষ টাকা করে সরকার অনুদান দিচ্ছে। যা ওই বৃদ্ধাকে পাইয়েও দিয়েছে সে। ৬ লক্ষ টাকার চেক এলআইসি-র একটি অফিস থেকে নিতে হবে। সেখানে বৃদ্ধাকে যেতে হবে।

কেন সে তাঁর জন্য এতকিছু করছে? বৃদ্ধার এই প্রশ্নের উত্তরে ওই যুবক জানায় বৃদ্ধার পরিবারের সাহায্য ছাড়া সে ব্যাঙ্কে চাকরি পেত না। তাই এটা সেই ঋণ শোধ। বৃদ্ধাকে ওই যুবক এও জানায় যে ওই চেক নিয়ে বৃদ্ধার বড় ছেলে সেখানে অপেক্ষা করছেন।

বৃদ্ধার গায়ে গয়না ছিল। লখনউয়ের আলমবাগ বাজারে বাজার করতে আসা ক্রিপাল কউর নামে ওই বৃদ্ধার পাশাপাশি তাঁর বান্ধবী নীলমের গায়েও গয়না ছিল।

ওই যুবক জানায় ২ বৃদ্ধাকেই দরিদ্র দেখতে লাগতে হবে। গায়ে গয়না থাকলে ওই চেক নাও মিলতে পারে। তাই গয়না খুলিয়ে একটি ব্যাগে পোরে ওই যুবক।

নিজেকে সৎ প্রমাণ করতে ব্যাগটা নিজের হাতে না রেখে নীলমের হাতে দিয়ে দেয়। কিন্তু মাঝপথে কিছু না বুঝতে দিয়ে নীলম নামে ওই বৃদ্ধার হাত থেকে ব্যাগটি নিয়ে চম্পটও দেয়।

পরে ওই বৃদ্ধা যুবকের বলা এলআইসি-র শাখায় গিয়ে শোনেন সেখান থেকে অনেকদিন আগেই এলআইসি অফিস উঠে গেছে। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধার ছেলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button