ক্ষমতা হাতে রাখতে দ্রুত বিয়ে করে ফেললেন কাউন্সিলর
ক্ষমতা হাতে রাখতে যে কেউ তাড়াহুড়ো করে বিয়েও করতে পারেন তা এবার দেখিয়ে দিলেন এক কাউন্সিলর। তিনি নিজেও পরোক্ষে সেকথা স্বীকার করে ফেলেছেন।
বিয়ের কোনও ঠিকঠাকই ছিলনা। বিয়ে হওয়ার একটা কথা চলছিল মাত্র। সেটা আদৌ কবে বাস্তবায়িত হবে তা কারও জানা ছিলনা। আচমকা একটা বিষয় কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে সময় নষ্ট না করে আচমকা বিয়ে করে ফেললেন এক কাউন্সিলর।
বিয়ের প্রস্তুতিও কিছু ছিলনা। ২ পরিবারও প্রস্তুত ছিলনা বিয়ের জন্য। কিন্তু পাত্রের আচমকা সিদ্ধান্তের পর আর কেউ নাও করতে পারেনি।
কতকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় হাঁকপাঁক করে বিয়ে করতে হয় কনেকেও। কিন্তু পাত্রের এমনকি তাড়া পড়ল যে এভাবে রাতারাতি বিয়ে করে ফেলতে হল!
এই হঠাৎ বিয়ের পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। কাউন্সিলর জানতে পারেন তাঁর আসনটি আসন্ন পুর নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষিত করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি পরদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে চলেছে।
একথা জানার পর আর দেরি করেননি কাউন্সিলর মহেন্দ্র শুক্লা। যেই তিনি বুঝতে পারেন যে এ আসনে তাঁর আর টিকিট পাওয়ার সুযোগ নেই, তখনই তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাতারাতি বিয়েটা করে ফেলেন।
যাতে মনোনয়ন জমার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁর স্ত্রীকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন। তাহলে বকলমে ক্ষমতার রাশ তাঁর হাতেই থেকে যাবে। আবার মহিলা আসন হওয়ায় সমস্যাও হবেনা।
অযোধ্যার স্বর্গদ্বার ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর মহেন্দ্র শুক্লা জানিয়েছেন, গত ৫ বছরে তিনি তাঁর এলাকার জন্য অনেক কাজ করেছেন। এখন সেটি মহিলা আসন হয়ে গেল। তাই সেই আসনে তাঁর স্ত্রীর চেয়ে ভাল প্রার্থী আর কে হতে পারেন! — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা