মাসি বাড়িতে তালা দিয়ে বিয়েবাড়ি গেলেন, কুউদ্দেশ্যে লুকিয়ে রইল বোনপো
দেখা সাক্ষাতের পর বোনপো বেরিয়ে যেতে বাড়িতে তালা দিয়ে বিয়েবাড়ি গেলেন মাসি। তিনি জানতেও পারলেননা বোনপো কোথাও যায়নি। বাড়িতেই লুকিয়ে আছে।
অনেকদিন পর বোনপো তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। তাকে দেখে খুশি হয়েছিলেন মাসি। সেদিনই আবার মাসির বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ রয়েছে। এমন নয় যে বিয়েবাড়িতে খেয়েই ফিরে আসবেন। নিকটাত্মীয়ের বিয়ে। তাই ফিরবেন পরদিন।
বিষয়টি বোনপোকেও জানান তিনি। মাসি বাড়িতে তালা দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। তাই বোনপো তার আগেই উঠে পড়ে। জানায় সে এবার ফিরবে। বোনপো মাসিকে জানিয়ে বিদায় নেয়।
তারপর ওই মহিলাও বিয়ের জন্য তৈরি হয়ে বাড়িতে তালা দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু তিনি জানতেও পারেননা যে তাঁর বোনপো আদৌ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়নি। বরং চলে যাচ্ছে বলে অন্য একটি ঘরে ঘা ঢাকা দিয়ে ছিল।
মাসি বেরিয়ে যেতেই বোনপো তার খেলা শুরু করে। সে আগে থেকেই জানত ঘরে কোথায় কি রয়েছে। ফলে টাকা, গয়না হাতিয়ে সে এবার বেরিয়ে যায়। কিন্তু তার মাসি তো দরজায় তালা দিয়ে গেছেন! তাহলে বার হবে কিভাবে?
ওই যুবক জানত যে বাড়িটির পিছনের দিকে একটি দরজা আছে। সেখানে ভিতর থেকে তালা দেওয়া থাকে। সেই ভিতরের তালা ভেঙে সে দরজা খুলে চম্পট দেয় বাড়ি থেকে।
পরদিন বাড়ি ফিরে তালা খুলে শাবানা খান দেখেন তাঁর টাকা, গয়না সব ডাকাতি হয়ে গেছে। পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে বুঝতে পারে যে সামনের দরজায় তালা যখন ঠিকঠাক ছিল তার মানে বাড়িতে আগে থেকেই কেউ লুকিয়ে ছিল।
পিছনের দরজার তালা ভাঙা দেখার পর সে বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিশ। বাড়ির পিছনের দিকের রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষার পর চোর কে তাও বুঝতে অসুবিধা হয়নি পুলিশের।
আবদুল্লা ইকবাল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে তারা। তার আপন মাসির বাড়িতেই চুরি করে গ্রেফতার হওয়ার পর তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা নগদ এবং ২৮ লক্ষ টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়। শাবানা খান এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর বোনপো এই কাণ্ডটা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লখনউতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা