অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘর বাঁধলেন মৃত স্ত্রী, জেল খাটলেন প্রথম স্বামী
অন্য এক পুরুষের সঙ্গে দিব্যি সংসার করছেন এক মহিলা। যাঁকে হত্যার অভিযোগে জেল খাটলেন প্রথম স্বামী ও তাঁর ১ বন্ধু।
২০১৫ সালে বাড়িতে না জানিয়ে সোনু নামে এক যুবককে বিয়ে করেন তরুণী আরতি। আদালতে বিয়ে সারেন তাঁরা। তারপর একান্তে ঘর বাঁধেন। কিন্তু ২০১৬ সালে একদিন বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান আরতি।
আরতি বাড়িতে না জানিয়ে বিয়ে করলেও পরে তাঁর পরিবার সবই জানতে পারে। আরতির বাবা পুলিশে অভিযোগ করেন তাঁর মেয়ে নিরুদ্দেশ। ঠিক তারপরই এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।
সেই দেহ শনাক্ত করতে আরতির বাবাকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। আরতির বাবা ওই দেহটি তাঁর মেয়ের বলেই শনাক্ত করেন। ফলে এফআইআর-এ যুক্ত হয় হত্যার অভিযোগ।
আরতির বাবার অভিযোগেই এরপর গ্রেফতার করা হয় আরতির স্বামী সোনু সাইনি এবং সোনুর এক বন্ধু গোপাল সাইনিকে। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে বৃন্দাবন শহরে একটি খাবারের দোকানের কর্মচারি সোনুকে দেড় বছর জেলে কাটাতে হয়। তারপর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
অন্যদিকে তাঁর বন্ধু গোপাল সাইনিকেও একই অভিযোগে গ্রেফতারের পর তাঁকেও জামিন পাওয়ার আগে ৯ মাস গারদের পিছনে কাটাতে হয়।
জেল থেকে বার হওয়ার পর নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগেন সোনু এবং গোপাল। কারণ ২ জনেরই জানা ছিল যে তাঁরা আরতিকে হত্যা করেননি। তাহলে কোথায় গেলেন আরতি?
সেই খোঁজে সব রকম সূত্র কাজে লাগিয়ে অবশেষে এতদিন পর আরতির হদিশ পান তাঁরা। জানতে পারেন উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে সংসার পাতা আরতি এখন রাজস্থানে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সংসার করছেন। আর সেই তথাকথিত ‘মৃত’ স্ত্রীর জন্য তাঁদের ২ জনকে গারদের পিছনে কাটাতে হল।
তাঁরা আরতির খোঁজ পেয়ে দ্রুত মথুরা পুলিশকে খবর দেন। মথুরা পুলিশ আরতিকে গ্রেফতার করে। আরতির কাছ থেকে ২টি আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। সেখানে ২টি আধার কার্ডে তাঁর ২ রকম বয়স উল্লেখ করা রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা