এক ছাত্রীর আসল রূপ প্রকাশ্যে আসতেই কলেজ ছাড়া ১১ সিনিয়র
বাস্তব জীবনের পাতা থেকে উঠে আসা এই ঘটনা যে কোনও সিনেমাকে হার মানাতে পারে। যেখানে কলেজ ছাত্রী বদলে গেলেন অন্য রূপে।
এক তরুণী ছাত্রী পিঠে ব্যাগ নিয়ে কলেজে আসেন। বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা মারেন। ক্যান্টিনে চলে গল্প গুজব হাসিঠাট্টা। কলেজের বাইরের চায়ে ঠেকেও প্রায়ই তাঁকে অন্য ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা যায়।
এমনকি তিনি কীভাবে ক্লাস বাঙ্ক করেন তার গল্পও মজা করে বলতেন বন্ধুদের। তাঁর সঙ্গে অনেকেরই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। কিন্তু কেউ জানতেন না তাঁদের ওই নতুন বন্ধুর আসল উদ্দেশ্য।
ওই কলেজ থেকেই আবার গুচ্ছ গুচ্ছ ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ আসছিল পুলিশ কাছে। প্রথম বর্ষের অনেক পড়ুয়াই সিনিয়রদের ব়্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছিলেন।
ব়্যাগিংও চলছিল অত্যন্ত খারাপ সব প্রস্তাব দিয়ে। বালিশের সঙ্গে দৈহিক মিলনও করানো হচ্ছিল প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের। কিন্তু সিনিয়রদের ভয়ে পুলিশ এলেও কেউ মুখ খুলছিলেন না।
পুলিশ তাই অন্য রাস্তায় হাঁটে। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে স্থানীয় থানার কনস্টেবল শালিনী চৌহানকে পুলিশ ছাত্রী সাজিয়ে ওই কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে মিশতে বলে।
একদম ছাত্রীদের মতই দেখতে তরুণী শালিনী সকলের সঙ্গে দ্রুত মিশে যান। কিন্তু সেই মিশে যাওয়ার অছিলায় তিনি চিহ্নিত করতে থাকেন কারা এইসব ভয়ংকর ব়্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। তা জোগাড় হলে তিনি পুলিশে সেই তথ্য পৌঁছে দেন।
যার ভিত্তিতে ১১ জন সিনিয়র পড়ুয়াকে কলেজ থেকে ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের হস্টেল থেকেও বার করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এই ছাত্রী সেজে খবর বার করার ঘটনা সামনে আসার পর দারুণ খুশি ওই কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা।