মাটি খুঁড়ে উদ্ধার প্রাচীন প্রস্তরখণ্ড, খোদাই করা ত্রিশূলে ধাঁধার উত্তর খুঁজছেন ঐতিহাসিকরা
মাটি খুঁড়ে এক প্রাচীন পাথরের খণ্ড পাওয়া গেল। যাতে একটি চিহ্ন খোদাই করা রয়েছে। যা দেখে হিসাব মেলাতে পারছেন না ঐতিহাসিকরাও।
এমনটা কীভাবে সম্ভব? কী করে ওই পাথরের খণ্ডে ত্রিশূলের চিহ্ন থাকতে পারে? এটাই এখন ভাবাচ্ছে ঐতিহাসিকদের। কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারছেন না তাঁরা।
তাবড় ঐতিহাসিক এখন প্রস্তরখণ্ডটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। পাথরের একদিকে ত্রিশূলের চিহ্ন রয়েছে। অন্য পিঠে রয়েছে ১০ লাইন লেখা। সেটাও পাঠোদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন ঐতিহাসিকরা। তবে তাঁদের আশ্চর্য ভাব কাটছে না।
তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম জেলার একটি গ্রামে খনন চালিয়ে ঐতিহাসিকরা একটি পাথরের খণ্ড পেয়েছেন। মাটির তলা থেকে তুলে আনা ওই পাথরের খণ্ডটি ২ ফুট লম্বা আর দেড় ফুট চওড়া।
গ্রানাইট পাথরের খণ্ডটির একটি পিঠে একটি ত্রিশূলের চিহ্ন খোদাই করা রয়েছে। অন্য পিঠে রয়েছে ১০ লাইন লেখা। ঐতিহাসিকরা প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানান পাথরটি ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের আশপাশের সময়ের।
সাধারণভাবে কোনও জমিতে শিবমন্দির নির্মাণ করার স্থির হলে এমন প্রস্তরখণ্ড দিয়ে সেই জমিটি ঘিরে ফেলা হত। এটা বোঝানোর জন্য যে ওই জমিতে শিবমন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
কিন্তু পাথরে ত্রিশূলের চিহ্ন খোদাই করার প্রচলন ছিল সেতুপতি বংশের শাসনকালে। পাণ্ডিয়া রাজবংশের রাজত্বে এটা ছিলনা। অথচ পাথরটির সময়কাল বলছে সেটি পাণ্ডিয়া সাম্রাজ্যের সময়ের। এখানেই অঙ্ক মিলছেনা ঐতিহাসিকদের।
তাঁরা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না পাথরটি যদি পাণ্ডিয়া সাম্রাজ্যের সময়েরই হয়, তাহলে তাতে ত্রিশূল খোদাই করা রয়েছে কেন? সেই প্রশ্নেরই এখন উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত তাবড় ঐতিহাসিকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা