সমুদ্র শহরে ডান্স বারে অভিনব ঠগবাজি, আওয়াজ তুললেন খোদ বিধায়ক
সমুদ্র শহরে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। সেখানে অভিনব সব উপায়ে চলে বাইরে থেকে আসা মানুষজনকে ঠকানো। ডান্স বারে কীভাবে চলছে এসব পুলিশকে জানালেন খোদ বিধায়ক।
সমুদ্র শহরে পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। সেখানে দেশি বিদেশি পর্যটকেরা হাজির হন। সমুদ্রের ধারে সময় কাটানোর পাশাপাশি নানা আমোদের জায়গায় তাঁরা হাজির হন বিনোদনের জন্য। যার মধ্যে একটি ডান্স বার।
সেখানে পর্যটকরা কি কি ধরনের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন তা বিস্তারিতভাবে তাঁদের বোঝাতে থাকে আগে থেকেই গায়ে পড়ে আলাপ করা কিছু ব্যক্তি। প্রধানত বিদেশি পর্যটকরাই তাদের শিকার হন।
বিদেশি পর্যটকদের নানা বিনোদনের হাতছানি দিয়ে তারা নিয়ে যায় ডান্স বারে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁদের কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করে দিতে বলা হয়। কার্ড সোয়াইপ করে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়।
আগাম এই টাকা দেওয়ার পরই তাদের দেওয়া তালিকা মত বিনোদনের সুযোগ পর্যটকরা পাবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একবার টাকা পেয়ে যাওয়ার পর তারা যেসব বিনোদনের হাতছানি দিয়ে বিদেশি পর্যটকদের সেইসব ডান্স বারে নিয়ে যায় তার অধিকাংশই দিতে পারেনা।
এবার যদি পর্যটকরা বলেন যে যখন তারা আগে থেকে বলা ওইসব বিনোদনের সুযোগ যদি না দিতে পারে তাহলে টাকা ফেরত দিক, তখন পাল্টা পর্যটকদের হেনস্থা করে ডান্স বার থেকে বার করে দেওয়া হয়।
গোয়ায় নাকি এমন ১২ থেকে ১৩টি ডান্স বার গজিয়ে উঠেছে। যেখানে নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে এভাবে দিনের পর দিন ঠকানো হচ্ছে বিদেশি পর্যটকদের। এমনই অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির হলেন খোদ গোয়ার এক বিজেপি বিধায়ক মাইকেল লোবো।
লোবো জানান, তিনি চান দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে যে গোয়ায় এলে নিশ্চিন্তে ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা। এখানে ঠকার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সেটাই হচ্ছেনা। দ্রুত এইসব ডান্স বার নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশকে অনুরোধ করেছেন লোবো। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা