ভিক্ষা করে জীবনের যাবতীয় সঞ্চয় জোর করে দান করলেন বৃদ্ধা
এও এক অন্য দান। যদিও সেই দান যাতে গ্রহণ করা হয় সেজন্য তাঁকে রীতিমত অনুনয় বিনয় করতে হল। বিশেষ লক্ষ্য পূরণেই তিনি এই কাজ করলেন।
তিনি ভিক্ষা করেই জীবন কাটিয়েছেন। একাধিক মন্দিরের সামনে তিনি ভিক্ষা করতেন। বিয়ে করেছিলেন এক বিশেষভাবে সক্ষম মানুষকে। তিনিও ভিক্ষাই করতেন।
২ জনের চলে যাচ্ছিল কোনওরকমে। এরমধ্যেই নেমে আসে এক চরম আঘাত। স্বামীকে হারান ওই মহিলা। জীবনে সম্পূর্ণ একা হয়ে যান। নিজেকে সমর্পণ করেন ভগবান জগন্নাথের চরণে।
মন্দিরে মন্দিরে ভিক্ষা করে কাটছিল দিন। আর এভাবেই আজ তিনি ৭০ বছরের বৃদ্ধা। ভিক্ষা করে যা সঞ্চয় হত তা তিনি ব্যাঙ্কে জমাতেন। সেখানে লক্ষ টাকা জমেছে তাঁর।
এখন বৃদ্ধা তুলা বেহেরা চান ভগবান জগন্নাথের পুরনো মন্দিরের সংস্কারে তাঁর অর্থ ব্যয় করা হোক। ওড়িশার কান্ধামল জেলার ফুলবনি শহরে রয়েছে ভগবান জগন্নাথের পুরনো মন্দিরটি।
এই ফুলবনি শহরেই গত ৪০ বছর বিভিন্ন মন্দিরের সামনে ভিক্ষা করে কাটিয়েছেন বৃদ্ধা। তিনি ধনু সংক্রান্তি তিথিতে জগন্নাথ মন্দির কমিটির কাছে গিয়ে জানান তিনি তাঁর জীবনে ভিক্ষা করে জমানো ১ লক্ষ টাকা দান করতে চান। চান এই অর্থ ভগবান জগন্নাথের পুরনো মন্দিরের সংস্কারে ব্যবহার করা হোক।
মন্দির কমিটির এক সদস্য সংবাদ সংস্থাকে জানান, বৃদ্ধার দান তাঁরা প্রথমে নিতেই চাননি। কিন্তু বৃদ্ধা অনড় ছিলেন ওই অর্থ প্রদানে।
অনুনয় করার পর তাঁরা অবশ্য ওই অর্থ গ্রহণ করেন। বৃদ্ধার ভিক্ষা করে জীবনের সঞ্চয় মন্দিরের সংস্কারে দান করার কথা ছড়াতেও সময় নেয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা