National

‘অনাথ’ শিশুর জন্ম দিল ১০ বছরের ধর্ষিতা মা

না তার পেলভিক বোন এতটা শক্ত হয়েছে যে সে শিশুকে চাপ দিয়ে স্বাভাবিক প্রসব করতে পারবে। নাই তার প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। অগত্যা ১০ বছরের কিশোরী মাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজারিয়ান বিভাগে। সেখানেই তার ৩৫ সপ্তাহের সন্তানকে সিজার করে বার করা হয়। যদিও ১০ বছরের মা ও সদ্যোজাত সন্তান ভাল আছে। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে কিশোরী। তবে সদ্যোজাতের ওজন মাত্র ২ কেজি ১০ গ্রাম। তাই তাকে বিশেষ বিভাগে রাখা হয়েছে।

অভিযোগ, গত ৭-৮ মাস ধরে চণ্ডীগড়ের ওই কিশোরী বারবার তার মামার পাশবিক লালসার শিকার হয়। ধর্ষণের ফলে একসময়ে সন্তান ধারণ করে সে। কিন্তু অত ছোট বয়সে মা হওয়ার বোধটাই তো তৈরি হয়নি। তাই একটা অস্বস্তি থাকলেও বুঝে উঠতে পারেনি তার দেহেই নিভৃতে বেড়ে উঠছে আর একটা প্রাণ। অবশেষে একদিন মাকে যখন সে জানাল তার পেটে ব্যথা হচ্ছে, তখন সকলে জানতে পারে আসল রহস্য। কিন্তু ততক্ষণে শিশুর বয়স ৩০ সপ্তাহ হয়ে গেছে। ফলে গর্ভপাতের সুযোগ নেই। মেয়ের সঙ্গে কথা বলে মামার কুকীর্তির কথাও জানতে পারে পরিবার।


এদিকে ১০ বছরের কিশোরীকে চণ্ডীগড়ের সরকারি হাসপাতালে আনা হয় এটা বলে যে তার পেটে একটা বিরাট পাথর আছে। সেটা বার করতে হবে। সন্তান প্রসবের পরও ছোট্ট মেয়েটি তাই জানে যে ডাক্তার আঙ্কলরা তার পেট থেকে একটা বিরাট পাথর বার করে দিয়েছেন। মেয়েটির পরিবার শিশুটিকে বাড়িতে রাখতে রাজি নয়। তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কিশোরী যাবে তার তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি। আর সদ্যোজাত তার মাকে ছেড়ে পাড়ি দেবে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে। সেখানেই বড় হয়ে উঠবে সে। হয়তো জীবনে জানতেও পারবে না তার জন্ম রহস্য। তার বাবা-মায়ের কথা। সংসারে তার পরিচয় হবে একটাই। সে অনাথ।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button