চিনের নতুন করোনা উপরূপে আক্রান্ত এ দেশের ৪ জন, বৈঠকে কেন্দ্র
চিনে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ দেশেও সেই চিনা করোনা উপরূপের খোঁজ মিলল। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে।
চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশজুড়েই সেখানে সতর্কতা জারি হয়েছে। ভারতে বসে সে খবরে নজর ছিল সকলেরই। তবে ভারতে তার কোনও প্রভাব ছিলনা। কিন্তু এবার চিন্তা বাড়াচ্ছে চিনের এই নয়া করোনার রূপ।
ওমিক্রনেরই ২টি নয়া রূপ বিএফ৭ এবং বিএফ১২ ছড়াচ্ছে চিনে। এবার চিনের সেই নয়া করোনা উপরূপে আক্রান্তের খোঁজ মিলল ভারতেও। ৪ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আর এখানেই চিন্তার ভাঁজ পুরু হচ্ছে।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের শুরুর দিকে যখন চিনে করোনা রীতিমত ছড়িয়ে পড়েছিল, লকডাউন চলছিল, তখন ভারতে স্বাভাবিক জনজীবনে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। পরে চিন থেকেই ভারতে আসে করোনা ভাইরাস। এবার ২০২৩-এর দরজায় দাঁড়িয়ে ফের সেই একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি চাইছেন না ভারতবাসী। চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার।
চিনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারতেও আগাম সতর্কতা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি বৈঠক করেছে। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে।
কোভিড পজিটিভ হলে সেই নমুনা যেন জেনোম সিকোয়েন্স ল্যাবে পাঠানো হয় তার নির্দেশও প্রতিটি রাজ্যসরকারের কাছে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে পাঠানো হয়েছে। নীতি আয়োগের সদস্য তথা জাতীয় কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভিকে পল ইতিমধ্যেই ভিড়ে মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
যদিও এখন মাস্ক আর ভারতের কোথাও আবশ্যিক নয়। তবে মাস্ক নিয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্যসরকারের হাতে ছাড়া হয়েছে। চিনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারত যে নিজেদের আগাম তৈরি রাখতে চাইছে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা