পাত্রী চাই, পাত্রী দাও, ৫০টি ঘোড়ায় বরের সাজে মিছিল করলেন পাত্ররা
এমনভাবে পাত্রীর আবেদন এ দেশে আগে কেউ কখনও দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না। ৫০টি ঘোড়ায় চড়ে ৫০ জন পাত্র আওয়াজ তুললেন একটাই। পাত্রী চাই।
পরনে ঝলমলে শেরওয়ানি, পাজামা। মাথায় লাল পাগড়ি। কোমর থেকে ঝুলছে তলোয়ার। একদম প্রথা মেনে বরের পোশাক। ১ জন নয় সারি বেঁধে বর। সকলেই ঘোড়ায় চড়ে বসে আছেন। যেন বিয়ে করতে যাচ্ছেন।
ঘোড়ায় চড়েই তো বিয়ে করতে যাওয়ার রীতি। সেটাই মেনে চলছেন তাঁরা। সারি দিয়ে তরুণ থেকে যুবক থেকে মধ্যবয়সী অবিবাহিত পাত্ররা বরের সাজে বুকে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে চলেছেন জেলা শাসকের দফতরে।
তাঁদের দাবি একটাই, পাত্রী চাই। প্ল্যাকার্ডে লেখা যে কেউ চাইলে মেয়েকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিতে পারেন। এ দৃশ্য আগে কেউ কখনও দেখেননি। ফলে এমন এক অভিনব বিয়ে পাগল বরের মিছিল দেখার ভিড় উপচে পড়ল পথের ২ ধারে।
এই দৃশ্য নজর কেড়েছে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে। জ্যোতি ক্রান্তি পরিষদ নামে একটি সংগঠন এই অভিনব আয়োজন করে। এর পিছনে অবশ্য গভীর এক ভারসাম্যহীনতা কাজ করছে। পুরুষ ও নারীর ভারসাম্য।
শুধু সোলাপুর বলেই নয়, আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলাতেই এখন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। ফলে বিবাহযোগ্য পুরুষ থাকলেও তাঁরা পাত্রী পাচ্ছেন না। পাত্রীর সংখ্যাই তো তুলনায় অনেক কম!
যার প্রতিকার চেয়ে, বিয়ে করতে চেয়ে, অভিনব এই মিছিল পৌঁছয় সোলাপুরের জেলাশাসকরে কাছে। সমস্যার কথা তাঁরা তুলে ধরেন জেলাশাসকের সামনে।
এই অভিনব মিছিলের একদম সামনে ছিল এক ১২ বছরের কিশোরও। তার বুকে ঝোলানো ছিল অন্য আশঙ্কা। লেখা ছিল আগামী দিনে তার বিয়ে আদৌ হবে তো? পরিস্থিতি এখন এমনই।
বিষয়টি যতই হাসির মোড়কে বরের মিছিল করে উপস্থাপিত হোক না কেন, যে বিষয়টি সংগঠন তুলে ধরতে চাইছিল তা কিন্তু মিছিলের অভিনবত্বের গুণে শুধু সোলাপুর নয়, সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা