খিচুড়ি মেলায় এবার বিশেষ ব্যবস্থা
ভিড়টা স্থানীয়দের তো থাকেই। সেইসঙ্গে দূর দূর থেকেও মানুষ এই খিচুড়ি মেলায় হাজির হন। তাই এবার বাড়তি ব্যবস্থা নিল প্রশাসন।
পৌষ মাস এবার ক্রমে তার অন্তিম পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে। আর পৌষের শেষদিন মানে মকরসংক্রান্তি। দেশজুড়েই বিভিন্ন প্রান্তে পুণ্যস্নান, উৎসব।
এই বিশেষ দিনেরই এক দীর্ঘদিনের উৎসব খিচুড়ি মেলা। গোরক্ষনাথ মন্দির সংলগ্ন জমিতে এই মেলা বসে। মানুষজন হাজির হন বিপুল সংখ্যায়। মকরসংক্রান্তি উপলক্ষে তাঁরা যেমন পুজো দেন তেমনই ভোগ পান।
মকরসংক্রান্তিতে এখানে খিচুড়ি উৎসর্গ করা হয় মন্দিরে। সেই খিচুড়ি ভোগকে সামনে রেখেই খিচুড়ি মেলা। মেলাটা অবশ্য সংক্রান্তির আগেই শুরু হয়। এবার মেলা শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি থেকে। আর শেষ হয় সংক্রান্তির পর। এবার শেষ হচ্ছে ১৭ জানুয়ারি।
এই ৫ দিন কিন্তু চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করেন সকলে। মেলায় শামিল হন। এই মেলা উত্তরপ্রদেশের পূর্ব প্রান্তের সবচেয়ে বড় মেলা হিসাবে প্রসিদ্ধ। যা গোরক্ষপুরের এক অন্যতম আকর্ষণ।
মেলাটি বসে ভারত নেপাল সীমান্তের কাছে। তাই খিচুড়ি মেলায় উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, লাগোয়া বিহার এবং নেপাল থেকেও বহু মানুষ হাজির হন। ফলে ভিড় জমে।
সেই ভিড় সামাল দিতে এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এবার খিচুড়ি মেলায় বিশেষ সুরক্ষা বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে। সুরক্ষাকর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত ১৫ জানুয়ারি গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই উৎসবের সূচনা করবেন। তাঁর হাতেই খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হবে গুরু গোরক্ষনাথকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা