সহ্য হল না এত ঠান্ডা, শেষ ২৫টি জীবন
এমন কনকনে ঠান্ডার কামড় সহ্য করা কঠিন। সহ্য হল না বেশ কয়েকজনের। হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোকে শেষ হয় গেল ২৫টি জীবন।
ঠান্ডার কামড় বেড়েই চলেছে। এই ঠান্ডাটা সহ্য করতে পারছেন না অনেকেই। ঠান্ডার কামড়ে কার্যত গোটা দিনও অনেকের কাটছে লেপ, কম্বলের তলায়। জ্যাকেট, সোয়েটার, টুপি, শাল জড়িয়েও ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই মিলছে না।
এই ঠান্ডার কামড় সহ্য করতে পারলেননা ২৫ জন। অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা নয়। নিছক শীতের ঠান্ডায় হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হলেন তাঁরা। কেবল ঠান্ডা কেড়ে নিল তাঁদের জীবন।
পশ্চিমবঙ্গে কয়েকদিনে শীতের কামড় টের পেয়েছেন মানুষজন। গোটা উত্তর ভারত জুড়েই শীতের তাণ্ডব চলছে। দিল্লির পারদ ২ ডিগ্রিতে নেমেছে।
দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড জুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। কাশ্মীর তো বরফের তলায় আগেই হারিয়ে গেছে। উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহরে এক ধাক্কায় ১ দিনে অনেকটা পারদ পড়ে যায়। চলে শৈত্যপ্রবাহ। এই আচমকা হাড় কাঁপানো ঠান্ডা সহ্য হয়নি অনেকের।
কানপুরের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রবল ঠান্ডায় রক্তচাপ আচমকা অনেকের বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে ঠান্ডা রক্ত জমাট বাঁধাও শুরু হয়। তাতেই হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকে ২৫ জনের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে ১৭ জনকে কোনও চিকিৎসা দেওয়ারও সুযোগ পাওয়া যায়নি। শুধু বৃদ্ধরা নন, কিশোর, কিশোরীরাও হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা যথেষ্ট গরম পোশাকে শরীর মুড়ে রাখার ও শরীরকে গরম রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। খুব দরকার না পড়লে বাড়ি থেকে না বার হতেই পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা