শহরের পেটে নদীর পারে জন্ম নিল আধুনিক তাঁবু শহর
ঐতিহাসিক শহরটা সেই শহরই আছে। খালি তারই পেটে জন্ম নিয়েছে এক ছোট্ট আধুনিক শহর। যেখানে সব বাড়িই একরকম দেখতে। সবই তাঁবু।
ভারতে যে ঐতিহাসিক শহরগুলি রয়েছে তার প্রায় কোনওটিতেই ফাঁকা জায়গা বড় একটা নেই। প্রাচীন শহর এত পরিকল্পনা মাফিক তৈরি হতনা। এখনকার নগর পরিকল্পনা সে সময় অতটাও মানা হতনা। ফলে শহরগুলি মূলত ঘিঞ্জি হত।
অপরিসর গলি, গায়ে গায়ে লেগে থাকা বাড়ি, চুনসুরকির দেওয়াল, কড়িবরগার ছাদ সবই প্রাচীনত্বের নিদর্শন বহন করছে। তেমনই একটি শহরে গঙ্গার ধারে ১০০ হেক্টর জমি বার করে সেখানে জন্ম নিল একটি নতুন শহর। অবশ্যই তা তৈরি করা হয়েছে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে।
এখানে সার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাড়ি। সবকটি বাড়িই তৈরি হয়েছে তাঁবুর আকারে। সবই একটি তলা সম্পন্ন। তাঁবুর যেমন হয়।
৩ ধরণের তাঁবু রয়েছে এখানে। একটি গঙ্গা দর্শন ভিলা, অন্যটি প্রিমিয়াম তাঁবু এবং তৃতীয়টি সুপার ডিলাক্স তাঁবু। বারাণসী শহরের পেটে তৈরি এই গঙ্গাপাড়ের তাঁবুর শহরের নাম দেওয়া হয়েছে কাশী টেন্ট সিটি।
রামনগরের কাছে গঙ্গাপাড়ের এই তাঁবুর শহরে সবরকম সুযোগ সুবিধা থাকছে পর্যটকদের জন্য। গঙ্গার একটি অংশ নিয়ে সেখানে গঙ্গা স্নানের বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে এখানে থাকতে আসা মানুষজনের জন্য।
ভাসমান জেটি দিয়ে ঘেরা এই গঙ্গা স্নানের জায়গা ২০ ফুট বাই ২০ ফুট। যেখানে ২৫ জন একসঙ্গে পুণ্যস্নান করতে পারবেন। এছাড়া তাঁবু শহরে থাকছে গেমিং জোন, স্পা সহ অন্য সুযোগ সুবিধা।
তাঁবু লাগোয়া সামনে থাকছে সবুজ লন। যেখানে বসে নিশ্চিন্তে গঙ্গা র শোভা দেখা সম্ভব। থাকছে সোফা, ডাইনিং টেবিল, টিভি, ফ্রিজ, গিজার, রুম হিটার, সেফটি লকার, আলমারি, পড়াশোনার টেবিল। ৫০০ বর্গফুটের এই তাঁবুগুলিতে দৈনিক থাকার খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা