National

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের রক্তে ভেজা চিঠি গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে

রক্তে লেখা চিঠি। সেই চিঠি পৌঁছল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। পৌঁছল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে পাঠালেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা।

তাঁদের পিতৃপুরুষের ভিটে। তাঁদের মাথা গোঁজার একমাত্র স্থান। পরিবার নিয়ে সেখানেই বাস। সেই প্রাচীন বাড়িগুলো এভাবে ভেঙে না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে চিঠি পাঠালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সেইসঙ্গে ভাঙা পড়ার তালিকায় থাকা দোকানের মালিকরাও চিঠিতে যোগ দিলেন। চিঠিতে যে লেখা বিনীত আবেদন পাঠানো হয়েছে তার কালি হিসাবে পেনের কালি নয়, ব্যবহার হয়েছে আবেদনকারীদের রক্ত। তাঁরা নিজেদের রক্ত দিয়ে এই চিঠি লিখেছেন।


উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার বৃন্দাবনের মাহাত্ম্য নতুন করে কাউকে বলার অপেক্ষা রাখে না। বৃন্দাবনের বাঁকেবিহারী মন্দির সেখানকার সবচেয়ে দ্রষ্টব্য স্থান।

Vrindavan
বৃন্দাবনের বাঁকেবিহারী মন্দির, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দির বা উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরের মহাকাল লোক করিডরের মত এবার বাঁকেবিহারী মন্দিরেও একটি করিডর করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই কাজ শুরু হলে ভাঙা পড়বে মন্দিরের আশপাশের কমপক্ষে ৩০০টি বাড়ি ও দোকান।


এই বাড়ির বাসিন্দারা ও দোকানের মালিকরা তাঁদের ভিটে ছেড়ে যেতে নারাজ। তাঁরা করিডরের বিরোধিতা করছেন। এবার তাঁরা তাঁদের বাড়ি বা দোকান বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন। রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রীকে।

একইভাবে রক্ত দিয়ে চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও। সরকার করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে না এলে বিরোধিতা চরম আকার নেবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন বাঁকেবিহারী মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি অমিত গৌতম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button