১৭ বছরের বিয়ের যন্ত্রণা শেষ, ঐতিহাসিক রায়ে মুক্ত ২১ বছরের তরুণী
২১ বছর বয়সেই সহ্য করতে হয়েছে ১৭ বছরের বিবাহিত জীবন। সহ্য করতে হয়েছে অনেককিছু। তারপর শুরু লড়াই। সেই লড়াই ফল দিল অবশেষে।
তখন তাঁর ৪ বছর বয়স। স্থানীয় রীতি মেনে সামাজিক চাপের মুখে সেই ৪ বছর বয়সেই এক তরুণের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। ৪ বছর বয়সেই বিবাহিতা হিসাবে সামাজিক স্বীকৃতি জুটে যায়।
শৈশবের এই বিয়ে এরপর কার্যত কেড়ে নেয় তাঁর শৈশব, কৈশোর। নানা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। আর সেভাবেই বয়স বাড়তে থাকে।
এখন সোনুর বয়স ২১ বছর। ২১ বছরের তরুণী সোনু এখন লড়াই করতে শিখেছেন। পাশে পেয়েছেন একটি সংগঠনের এক দিদিকে। সেই মহিলা সোনুর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। লড়াইয়ে কাঁধে হাত রেখেছিলেন। কিসের লড়াই?
সোনু চেয়েছিলেন এই বাল্যবিবাহের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে। কিন্তু সেই ইচ্ছা নিয়ে আইনের দরজায় কড়া নাড়তেই তাঁর আশপাশের অনেকে কার্যত রেরে করে ওঠেন।
এমনকি সোনু ও সারথি নামের ওই ট্রাস্টের মনোবিদ কৃতি ভারতীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির মুখেও পড়তে হয়। কিন্তু তাঁরা পিছু হঠেননি।
রাজস্থানের যোধপুর জেলার লুনি এলাকার বাসিন্দা সোনু যোধপুরের একটি পরিবার আদালতে তাঁর বাল্যবিবাহ থেকে মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন। যাবতীয় কাগজপত্রও আদালতে পেশ করা হয়।
তারপর সব খতিয়ে দেখার পর বিচারক এক ঐতিহাসিক রায় দেন। তিনি সোনুর বিবাহকে নাকচ করে দেন। ফলে এখন সোনু তাঁর ১৭ বছরের বিবাহ যন্ত্রণা থেকে মুক্ত। সোনু চান কৃতী ভারতীর সাহায্যে পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা