গত রবিবার থেকে প্রায় পাগল পাগল অবস্থা মনসুখভাই সাভালিয়ার। ৩-৪ দিন যাবত নাওয়া খাওয়া উঠে গিয়েছিল সুরাটের হিরে ব্যবসায়ী মনসুখভাইয়ের। গত রবিবার সেফ ডিপোজিট ভল্ট থেকে কয়েক প্যাকেট হিরে নিয়ে আসেন তিনি। অসাবধানবশত তাঁর পকেট থেকে পড়ে যায় একটি হিরের প্যাকেট। যার মধ্যে থাকা হিরেগুলির মূল্য প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। সমস্ত রকম চেষ্টা করেও সেই হিরের প্যাকেটের খোঁজ পাননি মনসুখভাই।
এরই মধ্যে যেখানে মনসুখভাইয়ের হিরের প্যাকেট পড়েছিল সেখানে ক্রিকেট খেলতে হাজির হয় বছর পনেরোর কিশোর বিশাল উপাধ্যায়। সে একটি প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে খেলার ছলেই সেটিকে পকেটে ঢুকিয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ি ফিরে বিশাল তার বাবা ফুলচাঁদ উপাধ্যায়কে প্যাকেটটি দেয়। প্যাকেট খুলে তো চোখ ছানাবড়া ফুলচাঁদের। পেশায় নিরাপত্তারক্ষী ফুলচাঁদ দেখেন প্যাকেটের ভেতর জ্বলজ্বল করছে বেশ কয়েকটি হিরে। সুরাটের বাসিন্দা তিনি, জহুরির চোখ না হলেও বুঝতে অসুবিধা হয়নি হাতের তালুর ওপর থাকা জিনিসগুলি মহামূল্যবান। গত সোমবার ও মঙ্গলবার সুরাটের হিরের বাজার বন্ধ ছিল জন্মাষ্টমী ও স্বাধীনতা দিবসের উপলক্ষে। ফুলচাঁদ কথা পাঁচকান না করে অপেক্ষা করেন বুধবারের জন্য।
বুধবার তিনি সটান চলে যান সুরাট ডায়মন্ড অ্যাসোসিয়েশনের দফতরে। গিয়ে সব কথা জানান। এসডিএ সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখে ঘটনাটি ঠিক কী। ফুটেজে দেখা যায় মনসুখভাই সাভালিয়া ভল্ট থেকে বেরনোর পর তাঁর হিরের প্যাকেট খোওয়া যাওয়ার ঘটনা। তারাই তখন যোগাযোগ করে মনসুখভাইয়ের সঙ্গে। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় হিরের প্যাকেট।
সততার জন্য ফুলচাঁদ ও বিশালকে সংবর্ধনা দিয়েছে সুরাট ডায়মন্ড অ্যাসোসিয়েশন। এখানেই শেষ নয়, বিশালের আগামী এক বছরের লেখাপড়ার খরচের দায়িত্বও নিয়েছে এসডিএ।