মনের মানুষকে পেতে উড়ে এলেন সুইডেনের কনে, গ্রামের স্কুলে করলেন বিয়ে
সুইডেন থেকে উড়ে এলেন কনে। তারপর গ্রামের একটি স্কুলে বিয়ে করলেন মনের মানুষকে। যাঁকে স্বপ্নে দেখে তাঁর ১০টি বছর কেটে গেছে নিজের দেশে বসে।
তিনি সুইডেনের বাসিন্দা। বাঙালিদের কাছে মেমসাহেব। সেই মেম কিশোরী বয়সেই ২০১২ সাল থেকে ভালবেসে ফেলে এক ভারতীয় কিশোরকে। সবটাই সোশ্যাল সাইটে। সেই প্রেম এতটা দূরে থেকেও তাঁদের বন্ধনকে বছরের পর বছর দৃঢ় করেছে। আরও কাছে এনেছে ২ জনকে।
যে প্রেমে দূরত্ব বা রক্তমাংসের মানুষটিকে না দেখতে পাওয়া অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং মজবুত হয়েছে সম্পর্কের ভিত। ২০১২-র প্রেম অবশেষে পরিণতি পেল ২০২৩ সালে এসে।
এখন ২ জনই তারুণ্যে ঝলমল। সুইডেনের মেয়ে ক্রিস্টেন লাইবার্ট অবশেষে তাঁর মনের মানুষের সঙ্গে জীবন কাটাতে উড়ে চলে আসেন ভারতে।
উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার তরুণ পবন কুমার এরমধ্যে দেরাদুন থেকে বিটেক করে একটি সংস্থায় কর্মরত। তিনি ক্রিস্টেনকে কাছে পেয়ে আপ্লুত।
তাঁদের ২ জনের বিয়ে হয়েছে একটি গ্রামের স্কুলে। স্কুল ভাড়া করে সেখানেই বসেছিল বিয়ের আসর। ক্রিস্টেন পরেছিলেন একদম ভারতীয় কনের সাজ।
লাল পোশাকে কনের সাজে ক্রিস্টেন মালাবদল করেন পবনের সঙ্গে। ভারতীয় রীতি মেনে ২ জনের বিয়ে হয়। সাতপাকে বাঁধা পড়েন উত্তরপ্রদেশের বর আর সুইডেনের কনে।
তাঁদের বিয়ে নিয়ে পবন কুমারের পরিবারেরও কোনও আপত্তি ছিলনা। বরং পবনের বাবা এই বিয়েতে খুশি। পবনের পরিবারের সকলেই মিলে ধুমধাম করে ২ জনের বিয়ে দেন। ১১ বছরের প্রেমপর্ব শেষে ২ জন এখন একসঙ্গে এক নতুন জীবন শুরু করলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা