চিড়িয়াখানার সিন্দুক চুরি করেও তা থেকে কিছু নিল না চোরেরা, রেখে গেল একটু দূরে
চিড়িয়াখানার সিন্দুকে অনেক কিছুই ছিল। সেসব সমেত সিন্দুকটি চুরি করে চোরেরা। কিন্তু তা থেকে কিছু নেয়নি। সব রেখে চম্পট দেয় তারা।
চিড়িয়াখানা থেকে সকলের অলক্ষ্যে সিন্দুকটা চুরি করেছিল চোরেরা। কিন্তু সেই সিন্দুক পাওয়া গেল অক্ষত অবস্থায়। যেমন ছিল তেমন। তবে যেখান থেকে চুরি গিয়েছিল সেখানে নয়। সেখান থেকে বেশ কিছুটা দূরে চিড়িয়াখানার মধ্যেই একটি সেতুর তলায় রাখা ছিল সিন্দুকটি।
সকলের প্রশ্ন যদি চুরিই করল তাহলে তা রেখে চলে গেল কেন চোরেরা? কেনই বা গোটা সিন্দুকটা নিয়েই চম্পট দিল না? এর উত্তর অনুমেয় বলেও মনে করছেন অনেকে।
সিন্দুকটি প্রাচীন আমলের। ওজন আড়াই কুইন্টাল। ফলে তা তুলে বেশি দূর নিয়ে যাওয়া সহজ নয়। একাধিক মানুষের পক্ষেও নয়।
মনে করা হচ্ছে চোরেরা তাই ধরাধরি করে সেটাকে ব্রিজের তলা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলেও চিড়িয়াখানা থেকে বার করে নিয়ে যেতে পারেনি। আর সিন্দুকটি এতটাই মজবুত যে তা ভাঙাও তাদের দ্বারা সম্ভব হয়নি।
ফলে সিন্দুক থেকে যায় অক্ষত। মনে করা হচ্ছে, অনেক চেষ্টা করেও সিন্দুক খুলতে না পেরে অবশেষে হাল ছেড়ে দিয়ে সেটিকে ওই অবস্থায় ফেলে চোরেরা পালায়।
পুলিশ চিড়িয়াখানার কাঠের ওই সেতুর তলায় শুকনো ডালপালায় ঢাকা অবস্থায় সিন্দুকটি উদ্ধার করে। সেটি পরে খুলে দেখা যায় তাতে যে ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৪০০ টাকা ছিল তাই রয়ে গেছে।
চোরেরা ১ টাকাও নিতে পারেনি। তবে কারা ওটা চুরি করেছিল তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কানপুর চিড়িয়াখানায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা