এই সেলুনে বিনামূল্যে চুলকাটা হয়, তবে সকলের জন্য নয়
তিনি বিনামূল্যেও চুল কেটে দেন। সেজন্য তাঁকে অনুরোধ করতে হয়না। তবে তিনি তা করে থাকেন কেবল কিছু মানুষের ক্ষেত্রেই। তাঁদের অন্য পরিষেবাও দেন।
নিজের শহরে একটি সেলুন বানানোর ইচ্ছা তাঁর ছিল। তবে তার আগে তিনি এক নামকরা কেশশিল্পীর কাছে তালিম নেন। তারপর নিজের শহরে সেলুন খুলে বসেন। সেখানে গ্রাহকরা এলে তিনি তাঁদের চুল কেটে দেন। এটাই তাঁর পেশা।
তবে সকলকে এজন্য টাকা দিতে হয়না। তিনি তাঁদের বিনামূল্যেই চুল কেটে দেন। সেলুন খোলার পর থেকে এমন ১ দিনও যায়নি যে তাঁর কাছে কোনও বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ চুল কাটতে এসেছেন আর তিনি তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
এমনকি বিশেষভাবে সক্ষম কেউ তাঁর সেলুন পর্যন্ত না আসতে পারলে, তিনিই তাঁর বাড়ি গিয়ে চুল কেটে দিয়ে আসেন। সেজন্য এক টাকাও নেন না।
তামিলনাড়ুর ভেলোর শহরের এ আর রাজা নামে ওই কেশশিল্পী এটা মনে করেন যে প্রত্যেক মানুষের সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। তিনি এভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেন।
সাধারণভাবে ভেলোরে মঙ্গলবার সেলুন বন্ধ থাকে। কিন্তু ওইদিন রাজা তাঁর সেলুন খোলেন। তবে সকলের জন্য নয়। কোনও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি তাঁর কাছে চুল কাটতে এলে তিনি তাঁর চুল কেটে দেন।
অথচ মঙ্গলবার তাঁর দোকান খোলা পেয়ে সাধারণ কোনও গ্রাহক চুল কাটাতে এলে তিনি সবিনয়ে তাঁকে পরদিন আসতে বলেন। অথচ তাঁর চুল কাটলে তিনি পারিশ্রমিক পাবেন, তাও এমনটা করেন রাজা।
বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ কেউ তাঁর কাছে অন্য কোনও দিন চুল কাটতে এলে রাজা অন্য গ্রাহকদের বসিয়ে রেখে আগে তাঁর চুল কেটে দেন। অথচ তাঁর কাছ থেকে পারিশ্রমিক নেন না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা