প্রমাণ হল না কিছুই, ১৬ বছর পর জেল থেকে বেকসুর খালাস এক ব্যক্তি
জীবন থেকে চলে গেল ১৬টা বছর। যা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। জীবনের অমূল্য ১৬টা বছর চলে গেল এক ব্যক্তির জীবন থেকে।
দিনটা ২০০৬ সালের ২৭ অগাস্ট। এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি এক চিকিৎসকের বাড়িতে গুলি চালিয়েছেন। বেআইনি বন্দুক থেকে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি।
মোট ৩ জন ওই চিকিৎসকের বাড়িতে গুলি চালায়। তারমধ্যে ওই ব্যক্তিও ছিলেন। ওই চিকিৎসক তাঁকে শনাক্তও করেন।
এদিকে তাঁকে ধরতে গেলে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ও হয় তাঁর। এসবই চার্জশিটে লিপিবদ্ধ করে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর তাঁর বিচার শুরু হয়।
১৬ বছর ধরে বিচারপর্ব চলতে থাকে। কিন্তু এই ১৬ বছরেও পুলিশ এটা প্রমাণ করতে পারেনি যে তারা যে দাবি চার্জশিটে করেছিল তার কোনওটা সত্যি।
পুলিশকে গুলি করা এবং বেআইনি বন্দুকের ব্যবহারও প্রমাণ হয়নি। পুলিশ এটাও বলে যে তারা সেই বেআইনি বন্দুক বাজেয়াপ্তও করেছে। কিন্তু পুলিশ যে দাবিগুলি করে তার স্বপক্ষে বিশেষ কিছু প্রমাণ হিসাবে আদালতে দাখিল করে উঠতে পারেনি গত ১৬ বছরে।
এদিকে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কারাগারের অন্ধকূপে কাটতে থাকে অজয় শর্মার জীবন। আইনি লড়াই চলতে থাকে।
অবশেষে ১৬ বছর পর পুলিশ তাদের দাবির স্বপক্ষে তেমন প্রমাণ দাখিল করতে না পারায় আগ্রা অ্যাডিশনাল ডিসট্রিক্ট কোর্ট অজয় শর্মাকে বেকসুর খালাস করে দেয়। কিন্তু তাতে কি! জীবনের ১৬টা বছর কারাগারেই কেটে গেল অজয় শর্মার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা