আর কাঠ নয়, হোলিকা দহনে বিশেষ জিনিস ব্যবহারের ডাক মন্ত্রীর
হোলি মানেই তার আগের দিন হোলিকা দহন। আর হোলিকা দহনে কাঠের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে এবার কাঠ নয়, অন্য জিনিসে জোর দেওয়া পরামর্শ দিলেন এক মন্ত্রী।
বসন্ত এসে গেছে। আর বসন্ত মানেই রংয়ের উৎসব হোলি। আকাশে বাতাসে দখিনা বাতাসের স্পর্শ। শীত কেটে প্রকৃতি এখন ক্রমে জেগে উঠছে নবরূপে। প্রকৃতি জুড়েও রঙের বাহার নজর কাড়তে শুরু করেছে।
হোলির আগের দিন ভারতে হোলিকা দহন এক প্রাচীন রীতি। হোলির আগের দিন সন্ধেয় কাঠ জ্বালানো হয়। তার মধ্যে আরও অনেক দাহ্য পদার্থ ফেলা হয়। আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। আর তার চারধারে মানুষ গোল হয়ে নাচে গানে মেতে ওঠেন।
হোলিকা দহনে কাঠের ব্যবহার বহুকাল ধরে চলে আসছে। এবার পরিবেশের কথা মাথায় রেখে কাঠ পোড়ানো কমাতে পরামর্শ দিলেন উত্তরপ্রদেশের পশু কল্যাণ মন্ত্রী ধর্মপাল সিং।
কাঠের জায়গায় তিনি ঘুঁটে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন সকলকে। এমনকি উত্তরপ্রদেশের সব খাটাল মালিককে তিনি দ্রুত গরুর গোবর থেকে ঘুঁটে তৈরি করতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এতে ঘুঁটে বেচে তাঁরা কিছু রোজগারেরও মুখ দেখতে পারবেন। আবার হোলিকা দহনে ঘুঁটের ব্যবহারও বাড়বে। তাতে কাঠের ব্যবহার কমবে।
মন্ত্রীর দাবি, ঘুঁটে অনেক বেশি পরিবেশ বান্ধব। এতে পরিবেশ দূষণ কমে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাই এবার হোলিতে হোলিকা দহনের সময় ঘুঁটে ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন ধর্মপাল সিং।
সেই সঙ্গে গরুকে সম্মান করা এবং পরবর্তী প্রজন্মকে গরুর প্রতি সম্মান ও ভালবাসা বাড়াতে উৎসাহ প্রদানের জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা