National

একটি পায়রার গলার কাছে নজর যেতেই ভয়ে কাঁটা গ্রামবাসী

পায়রা তো আকছার নজরে পড়ে। সে গ্রাম হোক বা শহর, পায়রার সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু তাদের দেখে মানুষ ভয় পান না। এই পায়রাটির ক্ষেত্রে পেলেন।

পায়রাকে শান্তির দূত হিসাবে ধরা হয়। পায়রা কোনও আক্রমণাত্মক পাখিও নয়। বরং আপাত নিরীহ পাখিটি মানুষের সঙ্গেই বাস করতে পছন্দ করে।

কিন্তু বাড়ির গবাদি পশুদের খাবার খাওয়ানোর সময় তাঁর বাড়িতে ঢুকে আসা একটি পায়রার দিকে নজর যেতে ভয়ই পেয়ে যান এক কৃষক। পায়রাটি তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে ডেকেই চলেছিল।


একটানা পায়রাটি ডেকে চলায় তার কাছে গিয়ে ওই কৃষক দেখেন পায়রার গলায় কি যেন বাঁধা রয়েছে। কি বাঁধা রয়েছে গলায়? সেটা নিশ্চিত হতে ওই কৃষক আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন।

তারপর পায়রাটিকে পাকড়াও করার চেষ্টা শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় অবশেষে পায়রাটিকে ধরা সম্ভবও হয়। দেখা যায় পায়রার গলায় সাদা সুতো দিয়ে বাঁধা রয়েছে ১টি কাগজের টুকরো।


পায়রার গলা থেকে কাগজটিকে খুলে সকলে দেখেন কাগজের এক পিঠে উর্দুতে ৭টি লাইন লেখা রয়েছে। কালো কালিতে লেখা। একটি চৌকো করা রয়েছে। তারমধ্যেই সেটা লেখা হয়েছে।

কাগজটির উল্টোদিকে রয়েছে রক্তের দাগ। ওই কৃষক প্রথমে লেখাটিকে প্রেমপত্র ভাবলেও তা যে নয় তা তাঁরা অনুমান করতে পারেন।

এরপর গ্রামের মধ্যেই শুরু হয় কেউ উর্দু পড়তে পারেন কিনা তাঁর খোঁজ। পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে কাগজটি উদ্ধার করে।

পরে জানা যায় ওই কাগজটি আসলে একটি তাবিজ হিসাবে পায়রার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পায়রাটিকে আপাতত খাঁচাবন্দি করেছেন স্থানীয়রা। ওই পায়রা কার তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের কাথারা গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button