সমুদ্রে জল বাড়ছে, সবুজ মাছ ধরার রাস্তা বেছে নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞেরা
সমুদ্রের জল বাড়ছে। সেই জল বাড়ার কথা মাথায় রেখে এবার সবুজ মাছ ধরার রাস্তা বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই পথেই এগোতে চায় সরকার।
সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। যা কখনওই মানবসভ্যতার জন্য ভাল সংকেত নয়। এর পিছনে রয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব। রয়েছে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাব। জীবাশ্ম থেকে বার হওয়া তেল, অর্থাৎ পেট্রোল, ডিজেলের ব্যবহারও এক বড় সমস্যার কারণ হচ্ছে।
সমুদ্রের তলা থেকেই ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন টন তেল তুলে নেওয়া হচ্ছে প্রতিবছর। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে।
সেক্ষেত্রে সমুদ্রে সবুজ মাছ ধরায় জোর দিতে চাইছেন বিশেষজ্ঞেরা। যা বাড়াতে এবার এগিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকারের মৎস্য মন্ত্রক।
সবুজ মাছ ধরা বা গ্রিন ফিশারিজ হল সমুদ্রে মাছ ধরায় নয়া প্রযুক্তির ব্যবহার। যে সব মাছ ধরার ট্রলার বা নৌকো সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় তা ভেসে যায় ডিজেলের হাত ধরে। কারণ যে মোটর ব্যবহার হয় তা ডিজেলে চলে।
এছাড়া মাছ ধরার ক্ষেত্রেও তেলের ব্যবহার রয়েছে যন্ত্র ব্যবহারে। সব মিলিয়ে সেই ঘুরেফিরে জীবাশ্ম তেল বা ফসিল ফুয়েলই ব্যবহার হচ্ছে।
এর থেকে বার হতে ইতিমধ্যেই কেরালার একদল মৎস্যজীবী নতুন পথ দেখিয়েছেন। তাঁরা তেলের বদলে এখন প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার করছেন মাছ ধরার ক্ষেত্রে। এতে তেলও পুড়ছে না, দূষণও ছড়াচ্ছে না।
সেই পথেই এগোতে এবার ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীদের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পঞ্চামৃত’ বা ৫টি অঙ্গীকার-এর একটি হল ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে তেলের ব্যবহার কমানো। এই সবুজ মাছ ধরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর একটি পদক্ষেপ হতেই পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা