ইন্টারনেটে ফোন নম্বর খোঁজার শিহরণ জাগানো ফল দেখাল ২টি ঘটনা
কোনও হাসপাতাল হোক বা কোনও নামকরা দোকান, অথবা অন্যকোনও ফোন নম্বর। এসব ফোন নম্বর পেতে অনেকে ইন্টারনেটে সার্চ করেন। যার ফল হতে পারে ভয়ংকর।
কোনও প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর নিজের কাছে না থাকলে তা ইন্টারনেটে অনেকেই খোঁজ করে থাকেন। সে কোনও হাসপাতালের হতে পারে, কোনও চিকিৎসকের হতে পারে, কোনও দোকানের হতে পারে, কোনও সংগঠনের হতে পারে, কোনও অফিসের হতে পারে এবং এমন অনেক প্রয়োজনীয় নম্বর হতে পারে। কিন্তু এভাবে নম্বর খুঁজে সেখানে ফোন করলে যে কতটা বিপদ হতে পারে তা দেখিয়ে দিল ২টি ঘটনা।
প্রথম ঘটনায় এক ব্যক্তি তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য হাসপাতালের নম্বর খুঁজছিলেন ইন্টারনেটে। একটি নম্বর পানও। সেই নম্বরে ফোন করলে তাঁকে হাসপাতালে রেজিস্ট্রেশন বাবদ অনলাইনে ১০ টাকা ফেলতে বলা হয়।
ওই ব্যক্তি জানান তিনি ওভাবে পেমেন্ট করতে পারেননা। তখন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়। নম্বর দেওয়ার পর তাঁকে মোবাইল ফোনে কুইক সাপোর্ট অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। ওই ব্যক্তি তাই করেন।
কিছু পরে তাঁর মোবাইলে একটি ওটিপি আসে। ওপার থেকে সেটি চাওয়া হয়। তিনি ওটিপি দেওয়ার পর তাঁকে জানানো হয় রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে।
ওই ব্যক্তি পরদিন সকাল ১০টায় স্ত্রীকে হাসপাতালে আনেন চিকিৎসককে দেখিয়ে নিতে। পরদিন হাসপাতালে গিয়ে কিন্তু ওই ব্যক্তি শোনেন এমন কোনও পরিষেবা হাসপাতালের নেই।
রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তখনই যা করার করা হয়। তারপর দেখানো। স্ত্রীকে এরপর হাসপাতালের নিয়ম নেমে দেখানোর পর তাঁকে ভর্তি করে নেয় হাসপাতালে।
ওই ব্যক্তি পাশের একটি এটিএম-এ যান টাকা তুলতে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৭১ হাজার ৭৫৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
অন্য ঘটনাটি মিষ্টি কেনার। একটি মিষ্টির দোকানের ফোন নম্বর ইন্টারনেটে খুঁজে সেই নম্বরে ফোন করেন এক ব্যক্তি। তারপর তাঁকে মিষ্টি পছন্দ করতে বলা হয়।
তিনি মোট ৬৪ হাজার ১১০ টাকা দিয়েও দেন। পরদিন মিষ্টির দোকানে এসে অর্ডার দেওয়া মিষ্টি নিয়ে যেতে বলা হয়। সেইমত দোকানে গিয়ে ওই ব্যক্তি জানতে পারেন যে তেমন কোনও নম্বর দোকানের নেই। তিনি টাকাটা খুইয়েছেন। ২টি ঘটনাই ঘটেছে লখনউতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা