এ হাতি সে হাতি নয়, অন্য হাতিতে মজে ভক্তেরা
হাতি কিন্তু আবার হাতি নয়। হাতি কিন্তু অন্য হাতি। যাতে এখন মজেছেন ভক্তেরা। হাতি দেখতে ভিড় জমছে সারাক্ষণ। খুশি মন্দিরের পুরোহিতও।
ওজন প্রায় ৮০০ কেজি। ১০ ফুটের ওপর লম্বা। দিব্যি কান নাড়ছে। শুঁড় নাড়ছে। মাথা নাড়ছে। কিন্তু হাতি হলে কী হবে আসলে তা হাতি নয়।
হাতি কিন্তু হাতি নয়! এ কেমন হেঁয়ালি! তা হেঁয়ালিই বটে। কারণ যে হাতি এখন সকলের মন জয় করে নিয়েছে সে আসল হাতি নয়।
কিন্তু দেখে কারও সাধ্য নেই বলা যে এটা সত্যিকারের রক্তমাংসের হাতি নয়। এটি একটি রোবট হাতি। যে কান, মাথা, মুখ, লেজ সবই নাড়তে পারে। তবে যন্ত্রের সাহায্যে। এমনকি যে মন্দিরে এই হাতির স্থান হয়েছে সেই মন্দিরে আগে আসল হাতি যে কাজ করত তা সবটাই করতে পারছে।
কেরালার আইরিনজাদাপিল্লি শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে আইরিনজাদাপিল্লি রমণ নামে এই রোবট হাতিকে এখন গেলেই দেখা যাচ্ছে। এ মন্দিরে হাতি ভক্তদের জন্য নানা কিছু করত। এবার সেই কাজটাই করছে এই কৃত্রিম যন্ত্রচালিত হাতি।
এতে খুশি পশু অধিকার রক্ষার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিও। তারাও এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। এর ফলে হাতিরা তাদের নিজেদের জীবন প্রকৃতির বুকে নিজের মত করে কাটাতে পারবে। মন্দিরে হাতির প্রয়োজন মেটাবে রোবট হাতি।
এই রোবট হাতি কিন্তু শুরুতেই সকলের নজর কেড়েছে। সকলেই হাতির প্রশংসা করছেন। কেরালার বিভিন্ন মন্দিরেই হাতি থাকে। তার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আগামী দিনে সব মন্দিরেই আসল হাতির জায়গায় এই রোবট হাতির ব্যবহার শুরু হয় কিনা সেদিকে তাকিয়ে অনেকেই।