বিশ্বকে নতুন উপহার, জীবন বাঁচাতে স্টিলের চেয়ে বাঁশে বেশি ভরসা রাখল দেশ
এ এক অসামান্য উপহারের চেয়ে কম কিছু নয়। যা হয়তো প্রকারান্তরে দেশের পাশাপাশি বাংলাকেও সমৃদ্ধ করবে। জীবন রক্ষায় বেশি ভরসা বাঁশে।
বাংলার দেওয়া বাঁশ কার্যত উপহারে পরিণত হল। কারণ ভারত দেখাল যে তারা স্টিল নয় জীবন রক্ষায় বাঁশে বেশি ভরসা করে। তারই প্রথম উদাহরণও সামনে এল। বাঁশ বাংলার হলেও তার প্রথম প্রয়োগ হল মহারাষ্ট্রে। পূর্ব মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের বাণী বরোরা হাইওয়ের ২০০ মিটার অংশে এই বাঁশের সঙ্গে পরিচিত হলেন মানুষজন। যা ভারতেই প্রথম নয়, বিশ্বেও প্রথম। গোটা বিশ্ব দেখল স্টিলের চেয়ে বাঁশের ওপর বেশি ভরসা করাই যেতে পারে।
ওই রাস্তার ২০০ মিটার অংশে রাস্তার ধারে যে ক্র্যাশ বেরিয়ার হয় তা বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হল। প্রায় সকলেই দেখেছেন হাইওয়ের ২ ধারে দুর্ঘটনা এড়াতে ক্র্যাশ বেরিয়ার দেওয়া থাকে। মোটা স্টিলের পাতের রেলিংয়ের মত দেখতে।
যা কোনও গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারালে তাকে রাস্তার ধারে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা করে। সেই বেড়া বিশ্বজুড়ে স্টিলের হয়ে থাকে।
কারণ স্টিলের সেই ক্ষমতা রয়েছে যে একটা ভারী যানকে কিছুটা হলেও রক্ষা করার। কিন্তু সেই স্টিলের জায়গায় এবার ওই ২০০ মিটার অংশে বসল বাঁশের ক্র্যাশ বেরিয়ার।
ব্যাম্বুসা বালকুয়া ব্যাম্বু নামে বিশেষ ধরনের বাঁশের ওপর ক্রিয়োসোচ তেল মাখিয়ে তার ওপর অতি ঘনত্বের পলিইথলিন-এর আস্তরণ দেওয়া হয়। এই বিশেষ ধরনের বাঁশ পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপূর্ব ভারতেই একমাত্র পাওয়া যায়। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর এই বাঁশ ক্র্যাশ বেরিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
একাধিক কঠিন পরীক্ষায় পাশ করার পরই ২০০ মিটার অংশে এই বাঁশের ক্র্যাশ বেরিয়ার দেওয়া হল। যা বিশ্ববাসীর জন্যও একটা উপহার। কারণ পরীক্ষা বলছে স্টিলের ক্র্যাশ বেরিয়ারের চেয়ে বাঁশের ক্র্যাশ বেরিয়ার নিজের কাজে অনেক বেশি পারদর্শী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা