নদীর নিচ থেকে উঠে এল ঘর আলো করা ইতিহাস
নদীর নিচে যে এগুলি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লুকিয়ে ছিল তা জানা গেল এত বছর পর ২০২৩ সালে। এক অসামান্য আবিষ্কারের হাত ধরে এ দেশে মিলল এক নতুন ইতিহাস।
এতদিন এ নদীকে বয়ে যেতে দেখেছেন কোটি কোটি মানুষ। নদী আপন বেগে বয়ে চলে। মানুষ তাতে সাঁতার কাটেন, জল ব্যবহার করেন, নৌকায় করে পাড়ি দেন। এবার সেই নদীর জলের তলায় উঁকি দিতে নদীর ইতিহাসটাই গেল বদলে।
কার্যত গোটা তল্লাটের ইতিহাস বদলে গেল। ভারতীয় ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ হল। কারণ নদীর তলদেশ থেকে যা মিলল তা বহু তাত্ত্বিককে চমকে দিয়েছে।
তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলার পানরুতি এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে থেনপেন্নাই নদী। প্রজন্মের পর প্রজন্ম নদীটিকে দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু এবার সেই নদীর তলদেশ থেকে উঠে এল কয়েকটি মাটির প্রদীপ। যা টেরাকোটার।
টেরাকোটার প্রদীপগুলি সঙ্গম যুগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই প্রদীপের শিল্পকীর্তি এতটাই সুন্দর যে তা নজর কাড়ছে সকলের।
যদিও প্রদীপগুলির কিছু অংশ নষ্ট হয়েছে। তবুও তৃতীয় শতাব্দীতে যে এখানে মানুষের বাস ছিল তা পরিস্কার। টেরাকোটার এই প্রদীপগুলি এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে যাতে দীর্ঘ সময় ধরে তা জ্বলতে পারে।
লাল ও কালো রংয়ের প্রদীপ পাওয়া গেছে নদীর তলদেশ থেকে। লাল প্রদীপটির ৪টি কোণায় প্রদীপের সলতে জ্বালানোর উপায় রয়েছে। কালোটির অবশ্য প্রদীপ জ্বালানোর জন্য একটি কোণায় ব্যবস্থা রয়েছে।
তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা জেলা এবং পুদুচেরির একটা অংশ এক সময় যথেষ্ট জনবহুল এক সমৃদ্ধ অঞ্চল ছিল। সেখানে টেরাকোটার নিদর্শনও মিলেছে। এবার সেই টেরাকোটার নিদর্শন মিলল কুড্ডালোর জেলাতেও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা