কোটিপতি হওয়ার পর থেকে জীবনে শান্তি নেই, রাতের ঘুম উড়েছে সবজি বিক্রেতার
রাতারাতি কোটিপতি হলে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাওয়ার কথা। তাও আবার যদি তা এক সবজি বিক্রেতার জীবনে ঘটে তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে উল্টো হচ্ছে।
রাস্তায় সবজি বিক্রি করে জীবন চলে যাচ্ছিল তাঁর। সামান্য উপার্জনেও অন্তত রাতে শান্তিতে ঘুমোতে যেতে পারতেন। টানাটানির সংসারে কিছুটা হলেও সুখ ছিল। কিন্তু রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার পর থেকে সে সব সুখ শান্তি উধাও হয়ে গেছে।
এখন সারাদিন কাটছে আতঙ্কে। রাতে ঘুম হচ্ছেনা চিন্তায়। এমন ভাবার কারণ নেই যে কোটি টাকা চুরি হওয়ার ভয়ে তাঁর ঘুম উড়েছে। বরং তাঁকে এখন প্রতিদিন সবজি বিক্রি ফেলে পুলিশ আর আইটি আধিকারিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে।
কীভাবে এত টাকা এল, কে ফেলল, এসব প্রশ্ন ঢেউয়ের মত এসে আছড়ে পড়ছে। তিনি বারবার বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন যে ওই অ্যাকাউন্ট তাঁর নয়। বরং তাঁর নাম ও পরিচয়পত্র জাল করে অন্য কেউ তাঁর নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন।
আর সেখানেই এই ১৭২ কোটি টাকা পড়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনও তাঁর কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারেনি। বরং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গাজিপুরের বিজয় রাস্তোগি নামে ওই সবজি বিক্রেতা সত্যি কথা বলছেন কিনা।
ব্যাঙ্কেও বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে যে বিজয়ের পরিচয় জাল করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে কিনা। সেইসঙ্গে যে ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার এজেন্সি এই টাকা পাঠিয়েছে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এসব না মেটা পর্যন্ত এখন বিজয়ের সবজি বিক্রিও লাটে উঠেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা