নতুন ডেরার সন্ধান পেল হলুদ কালো ডোরারা, মন ভাল হল পর্যটকদের
তারা নিজেদের জন্য এক নতুন ডেরা পেয়ে গেল। এটা যেমন তাদের নিশ্চিন্ত বসবাসের জন্য খুশির খবর, তেমনই পর্যটকদের জন্যও খুশির খবর।
হলুদ কালো ডোরা বলতে কাদের কথা বলা হয় তা ছোটদের জিজ্ঞাসা করলেও বলে দেবে। সেই বাঘরা এবার তাদের আরও এক নতুন ডেরার সন্ধান পেল।
যেখানে ২৭ বছর আগে শেষ শোনা গিয়েছিল বাঘের গর্জন। তারপর থেকে এ বনাঞ্চল ছিল বাঘ শূন্য। ফের সেখানে বাঘদের বিচরণ শুরু হল।
তবে বাঘরা নিজেরা এ জঙ্গল খুঁজে নেয়নি। বরং ভোপালের টেকনোলজি কলেজে ঢুকে পড়া একটি বাঘকে এতদিনে পাকড়াও করার পর এবার তাকে ছাড়া হল এই জঙ্গলে।
আর বাঘিনীকে আনা হল বান্ধবগড় ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য থেকে। এদের ২ জনকে মধ্যপ্রদেশের মাধব জাতীয় উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়লেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
মাধব জাতীয় উদ্যান শিবপুরী জেলায় অবস্থিত সাড়ে ৩০০ বর্গ কিলোমিটারের একটি জঙ্গল। যেখানে বাঘদের নতুন ডেরা তৈরি করতে হয়তো সময় লাগবে না।
আপাতত একটি বাঘ ও একটি বাঘিনী দিয়ে শুরু হলেও এখানে এবার একের পর এক বাঘ ছাড়া হবে। মধ্যপ্রদেশ এমনিতেই বাঘদের অভয়ারণ্যে ভর্তি। সেখানে এই মাধব জাতীয় উদ্যানও এখন ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য হয়ে উঠতে চলেছে। এতে পর্যটনও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।
পর্যটকরাও খুশি যে আগামী দিনে তাঁরা মধ্যপ্রদেশে বেড়াতে গেলে আরও একটি অরণ্যে সাফারির মাধ্যমে বাঘ দেখার সুযোগ পাবেন। প্রসঙ্গত এই জঙ্গলটি সিন্ধিয়া রাজপরিবারের সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়ার নামে তৈরি করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা