ডিজে বাজিয়ে কাকে বিয়ে করলেন যুবতী, চমকিত গোটা দেশ
বিয়ে করলেন এক ৩০ বছরের যুবতী। সে তো অনেকেই বিয়ে করছেন। এতো সাধারণ ব্যাপার। তবে এই যুবতী এমন কাউকে বিয়ে করলেন যা অবশ্যই চমকে দিতে পারে।
স্নাতকোত্তর করার পর এখন তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ৩০ বছরের ওই যুবতী বিয়ে করলেন। বিয়ে তো এই বয়সে করতেই পারেন। তবে তিনি রীতিমত খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন।
বিয়েটা হয়েছে ধুমধাম করেই। বিয়ের মণ্ডপ সাজানো হয়েছিল সুন্দর করে। বিয়ে হয় রাতে। তবে সন্ধে থেকেই বাড়িতে অতিথিদের ভিড়।
ডিজে-র সঙ্গে চলে নাচ। সঙ্গে এলাহি খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত। যেমনটা মেয়ের বিয়েতে সাধ মিটিয়ে বাবামায়েরা করে থাকেন তেমনই আয়োজন হয়েছিল। সেখানে কোনও ত্রুটি ছিলনা।
বিয়ের আগে জাঁকজমক করেই পাত্রকে নিয়ে আসা হয়। তবে সে পাত্র কোনও রক্তমাংসের মানুষ নন। তিনি স্বয়ং ভগবান।
উত্তরপ্রদেশের ঔরেয়ার বাসিন্দা রক্ষা ছোট থেকেই শ্রীকৃষ্ণের পরম ভক্ত। সেই শ্রীকৃষ্ণ প্রেমে বিভোর এই যুবতী বিয়েটাও করলেন শ্রীকৃষ্ণকেই। কৃষ্ণের মূর্তিকেই সাজিয়ে আনা হয়েছিল বিয়েবাড়িতে। সেখানে সেই মূর্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে, মালাবদল করে বিয়ে হয় রক্ষার।
বিয়ের পর রীতি মেনে রক্ষা পিতৃগৃহ ছেড়ে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তির সঙ্গে পাড়ি দেন সুখচয়নপুর নামে একটি স্থানে। যা ঔরেয়া জেলাতেই অবস্থিত। সেখানে রক্ষার এক আত্মীয়ের বাড়ি। এটাকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার মতই ধরা হচ্ছে।
পরে রক্ষা ফিরে আসেন শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি কোলে নিয়ে। ফেরেন বাপের বাড়িতে। শ্রীকৃষ্ণকে বিয়ে করেই আপাতত বিবাহিত জীবন কাটিয়ে দিতে চান রক্ষা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা