বিলেত যাচ্ছে লাঠি হাতে রুখে দাঁড়ানো গোলাপি শাড়ি
দেশের গ্রামের এক বিশেষ গোলাপি শাড়ি এবার আন্তর্জাতিক মহলে দেশের মাথা উঁচু করল। এবার গ্রামের গণ্ডি পার করে বিলেত যাচ্ছে বিশেষ কারণে।
এও দেশের জন্য এক গর্বের মুহুর্ত। দেশের এক প্রতিবাদের রঙিন শাড়ি, যা গ্রামের কিছু মহিলার জীবনে প্রতিবাদের রং ঢেলে দিয়েছিল তা এবার বিলেতে পাড়ি দিচ্ছে। এটা অবশ্যই দেশের মানুষের জন্য গর্বের।
তবে এই গোলাপি শাড়ি কিন্তু এক্ষেত্রে কঠোর। গোলাপি রংটা নারীর প্রিয় রং বলেই পরিচিত। সেই রং দেশের গ্রামে লাঠি হাতে এক প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছিল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। লাঠি হাতে দমন করেছিল দুষ্টের। দমন করেছিল নারীর বিরুদ্ধে অন্যায়ের।
সময়টা ২০০৬ সাল। সে সময় উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায় মহিলাদের ওপর অত্যাচার রুখতে পুরুষরা নয়, মহিলারাই হাতে তুলে নিয়েছিলেন লাঠি। তাঁদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সম্পত পাল দেবী।
যেখানেই পারিবারিক হিংসা থেকে অন্য কোনও অত্যাচারের মুখে পড়তেন মহিলারা, সেখানেই লাঠি হাতে গোলাপি শাড়ি পড়ে পৌঁছে যেত গুলাবি গ্যাং। গোলাপি রংয়ের শাড়ি পড়ে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা রুখে দাঁড়াতেন। প্রয়োজনে লাঠির ভাষাও বোঝাতেন। গুলাবি গ্যাংয়ের ভয় সে সময় খুব দ্রুত পেয়ে বসে মানুষের মনে।
সেই গুলাবি গ্যাং খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই গ্যাংয়ের দাপট। সেই গুলাবি গ্যাংয়ের কথা আন্তর্জাতিক মহলেও ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়েই বাহবা পেতে থাকে গুলাবি গ্যাং সৃষ্টির উদ্দেশ্য।
এবার সেই গুলাবি গ্যাংয়ের গোলাপি শাড়ি জায়গা পেতে চলেছে লন্ডনের ডিজাইন মিউজিয়ামে। আগামী মে মাসে ভারতের অফবিট শাড়ি-র একটি প্রদর্শনী হতে চলেছে সেখানে। শাড়ির দেশ ভারতের সেই শাড়ি প্রদর্শনীতে বিশেষত্বের শাড়ি হিসাবে প্রদর্শিত হবে গুলাবি গ্যাংয়ের গোলাপি শাড়ি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা